জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন-এর লেটার হেড প্যাড ব্যবহার করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে একটি রাজনৈতিক বক্তৃতা লেখার বিষয়টি জানিয়েছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান। যেটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, জাতীয় দৈনিকের লেটার হেড প্যাডে এই জাতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে অবহিতকরণ ঠিক হয়নি।জানা যায়, ২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিনের প্যাডে বেগম জিয়াকে নিজের হাতে চিঠিটি লেখেন শফিক রেহমান। এতে তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম, আপনার ভাষণের ফার্স্ট ড্রাফট এটা। ভাষ্যগত পলিশ পরে করা হবে। জনগণের কাছে আবেগমুখী কথাগুলো এর পরে সংযোজন করা হবে। এখন শুধু আপনি দেখবেন, আপনার ধারণা অনুযায়ী সব পয়েন্টগুলো কাভার করা হয়েছে কি না ’ধন্যবাদশফিক রেহমান২৫.৯.২০০১শফিক রেহমানের চিঠির বরাত দিয়ে একজন লিখেছেন, শফিক রেহমান এবার আর পালাতে পারেননি। এরশাদের সময় দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। তিনি আরো লেখেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার আগ মুহূর্তে ২০০৬ সালের অক্টোবরেও তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। আশাকরি আমাদের প্রতিবাদ মুখর সাংবাদিকদের এতো দ্রুত ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ক্ষমতার শেষ মুহূর্তে কারা দেশ ছেড়ে পালায়? সবাই পালায় না কেউ কেউ পালায়। কেন পালায় এটা বোঝার ক্ষমতা আশা করি আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রতিবাদমুখর সাংবাদিকদের দিয়েছেন।নিজের দল জামায়াত-বিএনপি জোট ক্ষমতায় থাকার পরও শফিক রেহমান কেন দেশ ছেড়ে পালাতে পারেননি- আশাকরি এটাও আপনাদের ভুলে যাবার কথা নয়। ঐ সময় সকল মিডিয়াতেও এই নিয়ে ব্যাপক মুখরোচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সবগুলো বিষয় উল্লেখ না করে শুধু একটি বলি, আর তা হলো ওনার অফিসের কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতিরোধের মুখেই ইমিগ্রেশন অফিসাররা তাকে এয়ারক্রাফট থেকে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ, জামায়াত-বিএনপি সরকারের বেগতিক অবস্থা দেখে অফিসের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রায় ছয়মাসের বেতন-ভাতার টাকা নিয়ে তিনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন।আর বাকি কারণগুলো না বলি, বললে আপনারা আবার বলবেন ‘‘একান্ত ব্যক্তিগত’’ বিষয়গুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করছি। ঐসব বিষয় আবার ওনার ভদ্রলোক(!) ইমেজে আঘাত আনতে পারে।আশরাফুল আলম খোকন নামের ওই ফেসবুক ব্যবহারকারী বলছেন, এখন আসেন এবারের গ্রেফতার নিয়ে বলি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রমাণিত। মার্কিন সরকারই এই ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে। এই মামলার রায়ে এক বিএনপি নেতার পুত্র, একজন এফবিআই কর্মকর্তা ও তাদের একজন এজেন্ট বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জেলে রয়েছেন। মার্কিন কোর্টে যখন এই মামলাটি চলছিল তখন দেশের অনেক পত্রিকায়ও অপহরণের সঙ্গে সংস্লিষ্ট দুইজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম এসেছিল, এর একজন শফিক রেহমান আরেকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ।এমাজউদ্দিন আহমেদ স্যার ঐসময়ে ওনার অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছিলেন যে অপহরণের ষড়যন্ত্রকারী ওই বিএনপি নেতার পরিবারের সাথে ওনার ব্যক্তিগত পরিচয় রয়েছে এর বেশি কিছু নয়। শফিক রেহমান কিছু বলেননি।পল্টন থানায় মামলাটিও তখনই হয়েছিল। বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা সাংবাদিক পরিচয়ে পরিচিত বলেই যাচাই-বাছাই শেষে আইনি প্রক্রিয়ায় আগানো হয়েছে বলে ফেসবুকে মন্তব্য এই ব্যবহারকারীর।এসএ/বিএ
Advertisement