বিএসএফ’কে দিয়ে সীমান্তে যারা অত্যাচার করছে, এনআইএ, ইডি, সিবিআই’র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে মা-বোনদের যারা নির্যাতন করছে, তাদের আপনারা একটি ভোটও দেবেন না। কোচবিহারে নির্বাচনী সভায় এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
Advertisement
আগামী ১৯ এপ্রিল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট। তার আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) কোচবিহারে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বাসুনিয়া সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নেন তিনি।
আরও পড়ুন>>
বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে শুধু মিথ্যা বলে: মমতা ‘মোদীর গ্যারান্টি জিরো, আমাদের গ্যারান্টি হিরো’ জনসংযোগে গিয়ে নিজের হাতে চা বানালেন মমতাএদিনের জনসভায় বক্তব্যের শুরু থেকেই ভারতীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও কোচবিহারে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তিনি বলেন, নির্বাচন শুরু হলেই অনেকে দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে ভোট চাইতে আসেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেস যাকে প্রার্থী করেছে, তিনি একজন ভদ্রলোক। আর বিজেপি যাকে প্রার্থী করেছে, তিনি একজন মানবদস্যু। কত মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় পুলিশের একাংশ এবং বিএসএফ আর চোরাকারবারিদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে, বোমাবাজি করে, শীতলকুচিতে পুলিশকে দিয়ে গুলি চালিয়ে, বিএসএফ’কে দিয়ে গুলি চালিয়ে ভোটের লাইনে পাঁচজনকে হত্যা করেছিলেন। গরুপাচার, বেআইনি মাদকপাচার, অর্থপাচার- তার বিরুদ্ধে কীসের মামলা নেই।
Advertisement
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতবর্ষে এমন কিছু আগে দেখেছেন, যার বিরুদ্ধে এত মামলা, তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। আর তৃণমূলকে বলছে চোর। তোমরা হচ্ছো মাফিয়াদের সরদার।
আরও পড়ুন>>
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে নাম লেখালেই বাংলাদেশি হয়ে যাবেন: মমতা তৃণমূল-বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় চমক, বাদ পড়লেন কারা? ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ‘অপব্যবহার’ হচ্ছে?গত ১ মার্চ ভারতের বেঙ্গালুরুতে রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মেদিনীপুরের একটি হোটেল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে আব্দুল মথিন ত্বহা ও মুসাভির হুসেন সাজিব নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
এ প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জী বলেন, লোকগুলো কর্ণাটকের, এখনকার নয়। আমাদের বাংলায় দু’ঘণ্টা লুকিয়ে ছিল। আর দু’ঘণ্টার মধ্যেই আমরা ধরে দিয়েছি। সেখানে বলছে, বাংলা সুরক্ষিত নয়। তোমার দিল্লি কি সুরক্ষিত? উত্তর প্রদেশ সুরক্ষিত? গুজরাট সুরক্ষিত? বাংলার মানুষ শান্তিতে থাকে, সেটা ওদের সহ্য হয় না।
Advertisement
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বিএসএফ’কে দিয়ে সীমান্তে যারা অত্যাচার করছে, এনআইএ, ইডি, সিবিআই’কে দিয়ে মা-বোনদের ওপর যারা নির্যাতন করছে, তাদের একটি ভোটও দেবেন না। আমরা সিএএ চালু হতে দেবো না। মোদী, অমিত শাহ আর এই গুন্ডাগুলো ছাড়া এদেশে আর কাউকে থাকতে দেবে না। সবাইকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে। আমরা বাঘের বাচ্চার মতো লড়াই করি বলে এখনো আছি। আমরা থাকতে এনআরসি, সিএএ- করতে দেবো না, ইউনিফর্ম সিভিল কোড করতে দেবো না।
ডিডি/কেএএ/