দেশজুড়ে

তিন দশক পর যশোরে ফিরছে বৈশাখী মেলা

তিন দশক পর যশোরে ফিরছে বৈশাখী মেলা। আগামী ৩০ চৈত্র শনিবার (১৩ এপ্রিল) বর্ণাঢ্য আয়োজনে যশোর টাউন হল ময়দানে এই মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। দশ দিনব্যাপী মেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এর আগে টাউন হল ময়দানে সংবাদ সম্মেলনে লোকজ সাংস্কৃতিক উৎসব ও বৈশাখী মেলা ১৪৩১ এর সদস্য সচিব ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু বলেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও যশোর ইনস্টিটিউট যৌথভাবে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ১০ দিনব্যাপী লোকজ সংস্কৃতি উৎসব ও বৈশাখী মেলা ১৪৩১ আয়োজন করেছে। মেলার উদ্বোধন হবে ৩০ চৈত্র ১৪৩০ এবং শেষ হবে ৯ বৈশাখ ১৪৩১। সমগ্র আয়োজনে যশোরসহ জেলা ও উপজেলার মোট ১৩০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করবে। বাংলা সংস্কৃতির পরিচয়বাহী কবিগান, পটগান, গম্ভীরা, জারিগান, সঙ যাত্রা, লাঠিখেলা, সাপ খেলাসহ গ্রাম বাংলার লোকজ আঙ্গীক ধারাবাহিকভাবে প্রদর্শিত হবে মেলায়।

তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে সমস্ত সংগঠনের শিশুদের নিয়ে শিশুতোষ আয়োজন থাকবে। আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এটি আমাদের বিশেষ উদ্যোগ। পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে যশোরের সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীরা অনুষ্ঠান উপস্থাপন করবেন।

এই উৎসবকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সরকার যশোরের উপপরিচালক রফিকুল হাসানকে আহ্বায়ক ও সানোয়ার আলম খান দুলুকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূল কমিটি ছাড়াও কয়েকটি উপকমিটি গঠন এবং দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।

Advertisement

আয়োজকরা জানিয়েছেন, তাদের জানামতে সর্বশেষ ১৪০১ বঙ্গাব্দে যশোরে সর্বশেষ বৈশাখী মেলা হয়েছে। এরপর এমন আয়োজন এই জেলায় আর হয়নি। সেই হিসাবে তিন দশক পর বৈশাখী মেলা উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

লোকজ সাংস্কৃতিক উৎসব ও বৈশাখী মেলা ১৪৩১ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক স্থানীয় সরকার যশোরের উপপরিচালক রফিকুল হাসান জানান, টাউন হল ময়দানের এই বৈশাখী মেলায় ৬০টি স্টল থাকবে। স্টলগুলোতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হবে। ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পণ্য সম্ভার স্টলগুলোতে স্থান পাবে। যশোরের বরেণ্য ব্যক্তিদের নামে ‘প্যাভেলিয়ন’ থাকবে এবং জেলার প্রয়াত সংস্কৃতিজনদেরও মেলায় নানা আঙ্গিকে সম্মান জানানো হবে।

এই আয়োজন সফল করার মধ্যে দিয়ে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বৈশাখী মেলাকে ফিরিয়ে এনে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে। তিনি মেলা সফল করতে যশোরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

মিলন রহমান/এফএ/জেআইএম

Advertisement