ইরানের প্রতিশোধের আশঙ্কায় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালিয়ে ইরানের জেনারেলসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে ইসরায়েল।
Advertisement
এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রতিশোধের হুমকি দিচ্ছেন ইরানের শীর্ষ নেতারা। বলা হচ্ছে, এবার সরাসরি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তেহরান।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশন জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদ যদি ইসরায়েলি হামালার নিন্দা জানাতো তাহলে হয়তো ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা এড়ানো যেতো।
পশ্চিমা গণ্যমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়, সরাসরি ইসরায়েল অথবা ইসরায়েলের স্বার্থ রয়েছে এমন স্থাপনায় ইরানের হামলা আসন্ন। এরপরই ইরানের পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি এলো।
Advertisement
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় ইরানের মিশন জানায়, সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে আগ্রাসনের নিন্দা যদি নিরাপত্তা পরিষদ করতো তাহলো হয়তো হামলার অপরিহার্যতা থেকে সরে আসা যেতো।
গত ১ এপ্রিল ইসরায়েলের হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ অন্তত সাতজন নিহত হন। এরপর ইসরায়েলে হামলার চূড়ান্ত অঙ্গীকার করে ইরান।
আরও পড়ুন>
ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত ইসরায়েলের বোমা হামলায় ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে, নাতি-নাতনি নিহতএমন উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েল সফরে গেছেন মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলা।
Advertisement
কুরিলা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাদের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের সম্ভাব্য হামলা।
গত কয়েক দিন ধরেই ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার ব্যাপারে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে। মূলত তেহরানের হামলা প্রতিহত করতে তারা উদ্বিগ্ন।
এমএসএম