রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। ঈদের দিন বাড়ি ফিরতে তারা লঞ্চ টার্মিনালে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন- মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাদের শিশুসন্তান মাইসা (৩)। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়।
নিহত অন্য দুজন হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার।
সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, মরদেহগুলো মিডফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
Advertisement
লিয়াকত আলী বলেন, আজ বিকেল ৩টার সময় সদরঘাটে বার্থিং করা তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন মানুষ আহত হন। আমরা দ্রুত আহতদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। তবে হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন স্বামী স্ত্রী এবং তাদের সন্তান।
তিনি বলেন, যারা মারা গেছেন তারা সম্ভবত তাদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য লঞ্চের খোঁজ করছিলেন। ওই অবস্থায় তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে তাদের গায়ে লাগে। লঞ্চের রশি অনেক মোটা এবং ভারী। এটি যখন ছিঁড়ে যায় খুবই স্পিডে ছিড়ে।
আরও পড়ুন
ঈদের উৎসব রূপ নিলো বিষাদে, সদরঘাটে ঝরলো ৫ প্রাণসদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের বার্থিং সারেং শেখ মো. আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা গেছেন। আহত হয়েছে কয়েকজন।
Advertisement
এদিকে সদরঘাট ট্রাফিক জোনের যুগ্ম কমিশনার জয়নাল আবেদীন জাগো নিউজকে বলেন, এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ দড়ি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এসময় এমভি ফারহান-৬ লঞ্চটি পার্কিং করার জন্য ওই দুই লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ঢুকলে ধাক্কা লেগে এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চটির ওঠানামার দড়ি ছিঁড়ে যায়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা-ভোলা রুটের এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চে উঠছিলেন পাঁচ যাত্রী। এসময় ফারহান-৬ লঞ্চের ধাক্কায় তাশরিফের দড়ি ছিঁড়ে গেলে তারা আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতদের মধ্যে একজন নারী, তিনজন পুরুষ এবং এক শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরএমএম/বিএ/এএসএম