রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনে বাঁধা দুই লঞ্চের মাঝে অন্য এক লঞ্চের ধাক্কায় দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। তাদের ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে লঞ্চে ওঠানামার দড়ি ছিঁড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন- মো. বেলাল (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাদের শিশুসন্তান মাইসা (৩)। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়।
নিহত অন্য দুজন হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউলও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার।
Advertisement
সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলী জানান, মরদেহগুলো মিডফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের বার্থিং সারেং শেখ মো. আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা গেছেন। আহত হয়েছে কয়েকজন।
এদিকে সদরঘাট ট্রাফিক জোনের যুগ্ম কমিশনার জয়নাল আবেদীন জাগো নিউজকে বলেন, এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ দড়ি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এসময় এমভি ফারহান-৬ লঞ্চটি পার্কিং করার জন্য ওই দুই লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ঢুকলে ধাক্কা লেগে এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চটির ওঠানামার দড়ি ছিঁড়ে যায়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা-ভোলা রুটের এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চে উঠছিলেন পাঁচ যাত্রী। এসময় ফারহান-৬ লঞ্চের ধাক্কায় তাশরিফের দড়ি ছিঁড়ে গেলে তারা আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতদের মধ্যে একজন নারী, তিনজন পুরুষ এবং এক শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইএইচআর/টিটি/বিএ/এএসএম