চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে যেন গোলবন্যা বয়ে যাচ্ছে। আগের দিন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচে হলো ৬ গোল, আর্সেনাল-বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচে গোল মোট ৪টি। দুটি ম্যাচই হয়েছে ড্র।
Advertisement
এবার প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) আর বার্সেলোনার হাইভোল্টেজ লড়াইটিতে হলো ৫ গোল। এ লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো বার্সা। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির মাঠ থেকে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে জাভি হার্নান্দেজের দল।
বার্সার জয়ের নায়ক ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনহা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের প্রথম গোল পাওয়ার দিন দ্বিতীয় গোলও করে দলকে লড়াইয়ে ফেরান এই উইঙ্গার।
ম্যাচের একপর্যায়ে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়া বার্সা পিএসজির মাঠে ৯ বছর পর প্রথম জয় পেয়েছে। সর্বশেষ জয়টি এসেছিল ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগেই।
Advertisement
ঘরের মাঠে শুরুতেই বার্সোলোনাকে চেপে ধরেছিল পিএসজি। তবে দ্রুতই ছন্দ খুঁজে পায় অতিথিরা। ৩৭ মিনিটে রাফিনহার গোলে এগিয়ে যায় কাতালান ক্লাবটি। লামিনে ইয়ামালের ক্রস রুখে দিয়েছিলেন পিএসজি গোলরক্ষক দোনারুমা। কিন্তু বল পেয়ে যান বাঁ পাশে অরক্ষিত থাকা রাফিনহা, গোল করতে ভুল করেননি (১-০)।
পিছিয়ে পড়া পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঘুরে দাঁড়ায়। ৪৮ মিনিটে জোরালো শটে দারুণ এক গোলে ম্যাচে সমতা আনেন বার্সা ছেড়ে এ মৌসুমেই পিএসজিতে যোগ দেওয়া উসমান ডেম্বেলে (১-১)।
দুই মিনিটের মাথায় আরও এক গোল স্বাগতিকদের। এবার ফাবিয়ান রুইজের পাস থেকে বল পেয়ে ব্যবধান ২-১ করেন ভিতিনহা। স্বাগতিক শিবিরে তখন জয়ের আবহ।
কিন্তু পিএসজির মূল তারকা কিলিয়ান এমবাপেকে বোতলবন্দি করে রাখা বার্সা হাল ছাড়েনি। ৬১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে দলকে সমতায় ফেরান রাফিনহা (২-২)। এরপর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই ৭৭ মিনিটে গোল করেন ক্রিস্টেনসেন। ইলকাই গুন্দোয়ানের নেওয়া কর্নার কিক থেকে মাথা ছুঁয়ে বার্সার জয় নিশ্চিত করেন তিনি (৩-২)।
Advertisement
বাকিটা সময় অনেক চেষ্টা করলেও বার্সার রক্ষণ ভাঙতে পারেনি প্যারিসের ক্লাবটি। ৩-২ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।
এমএমআর/এমএস