দেশজুড়ে

ঈদে সেমাই না আনায় অভিমানে বাড়ি ছাড়া, ফিরলেন ৩৪ বছর পর

ঈদে বাড়িতে সেমাই না আনায় অভিমানে বাড়ি ছেড়েছিলেন রফিকুল ইসলাম। ৩৪ বছর পর সে অভিমান ভেঙে ঈদে ফের বাড়ি ফিরেছেন তিনি।

Advertisement

রফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নৈশ্বরকাটি গ্রামের মতলেব সরদ্দারে বড় ছেলে। ১৯৯০ সালের ঈদুল ফিতরের আগে তিনি বাড়ি ছাড়েন।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, ঈদে সেমাই না আনাকে কেন্দ্র করে বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান রফিকুল ইসলাম। সেই থেকে কুমিল্লার মুরাদপুর উপজেলার চুলুরিয়া গ্রামে বসবাস করতেন। সেখানে বিয়ে করে সংসার পাতেন। রয়েছে এক ছেলে ও দুই মেয়ে।

রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই মহিদুল সরদার বলেন, ঈদের দিন আব্বা সেমাই না আনায় রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যার বড় ভাই। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। এরপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। হঠাৎ সোমবার রাত ১০টার দিকে আমাদের গ্রামের মসজিদে বড় ভাইয়ের ছেলে আব্দুর রশিদ সরদার আসে। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসলে তার কাছ থেকে সব কিছু শুনে চুলুরিয়া গ্রামে গিয়ে তাদের নিয়ে আসি।

Advertisement

রফিকুল ইসলামের মাতা শুকজান বিবি জাগো নিউজকে বলেন, আমার বড় ছেলে রফিকুল ইসলামকে আমরা দীর্ঘ ৩২ বছর পর আজ দেখতে পেলাম। আমার বুকের ধন ফিরে এসেছে, আমরা খুশি।

আহসানুর রহমান রাজীব/আরএইচ/জেআইএম