বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ ছুটিতে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়েছে অসংখ্য মানুষ। ঢাকার প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে নেই চিরচেনা যানজট। শপিংমল ও বাজার বাদে বেশিরভাগ জায়গায় নেই মানুষের জটলা। ঢাকা যেন অন্য এক ঢাকা। ‘ফাঁকা’ ঢাকায় শুরু হয়েছে ঈদের আমেজ।
Advertisement
বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর, শ্যামলী, গাবতলী, কল্যাণপুর, বনানী আসাদগেট, সাইন্সল্যাব, নিউমার্কেট, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার ও মহাখালী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এসব এলাকায় এদিন দেখা যায়নি চিরচেনা মানুষের জটলা। তবে শেষ মুহূর্তে কিছুটা ভিড় দেখা যায় বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাটসহ রেলওয়ে স্টেশনে।
এদিন দুপুর দেড়টায় মিরপুর ১০, ১২ ও ১ নম্বর স্টপেজে বেশ কয়েকটি বাসকে দাঁড়িয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। প্রত্যেকটি বাসে হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রী ছিল।
Advertisement
আরও পড়ুন
ঈদ-পহেলা বৈশাখে সারাদেশে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদারমাজার রোডে রিকশা ও মানুষের জটলা চোখে পড়ে। মিরপুর ১০, ২ ও ১৩ নম্বর ফুটপাতেও কেনাকাটা করতে আসা মানুষের ভিড় ছিল। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ব্যক্তিগত পরিবহন, সিএনজি ও রিকশার দখলে। তবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে এসব পরিবহনে বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। বাস ও রিকশায় যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
আনসার ক্যাম্প থেকে গাবতলী আসা চাম্পা নামে এক নারী জানান, তার কাছ থেকে ঈদ বকশিশ বাবদ ২০ টাকা নিয়েছেন একটি বাসের কন্ডাক্টর। একইভাবে সিএনজি ও অটোরিকশায় যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নিতে দেখা গেছে।
এদিকে ফাঁকা ঢাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা মোকাবিলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। চুরি, ছিনতাইসহ ঈদকেন্দ্রিক অপরাধ দমনে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মহাসড়কেও ডাকাতি-ছিনতাই রোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
এসএম/ইএ/জেআইএম