ঈদের আগের দিন গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ কম দেখা গেছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) কাউন্টারগুলোতে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের অলস বসে থাকতে দেখা গেছে। তারা জানিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়েই বাস ছেড়ে যাচ্ছে।
Advertisement
গাবতলী স্টেশনে কোন যাত্রী আসলেই, হাঁক ছাড়ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। কাউকে টেনে আনছেন কাউন্টারের কাছে। ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এবার আগেভাগেই গ্রামে গেছেন মানুষ। যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে বাস পেলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। আর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাবতলীতে আসতে পোহাতে হচ্ছে বকশিস বিড়ম্বনা।
মাগুরা যাবেন আহমেদ শেখ ও তার স্ত্রী। মিরপুর ৬০ ফিট থেকে ২৫০ টাকা সিএনজি ভাড়া দিয়ে তারা গাবতলী এসেছেন। তিনি বলেন, সব খানেই বকশিস। ১৫০ টাকা সিএনজি ভাড়া দিলাম ২৫০ টাকা। অন্য সময় ৫৫০ টাকা ভাড়া, আজ নিল ৭০০ টাকা। আবার বলে চার্টের ভাড়া নিয়েছি, বকশিস দেন।
আরও পড়ুন>>>
Advertisement
চম্পা ও তার স্বামী ফরিদপুর যাচ্ছেন গোল্ডেন লাইন পরিবহনে। তিনি বলেন, অন্য সময় ৩৫০ টাকা ভাড়া হলেও আজ নিচ্ছে ৫০০ টাকা। ভেঙ্গে ভেঙ্গে গেলে ৩০০ টাকায় যাওয়া যেতো। কিন্তু সঙ্গে রোগী থাকায় ভেঙ্গে গেলাম না।
চাকরিজীবী আমিনুল হক বলেন, ভাড়া প্রতি ঈদেই পরিবহনের লোকেরা বেশি নেয়। চার্টের কথা বলে, এই চার্টেই তো ভাড়া বেশি রাখা হয়েছে।
যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, ভাড়া বেশি রাখার সুযোগ নাই। বিআরটিএ, পুলিশ, মিডিয়া সবাই আছে। একটাকা বেশি রাখছিনা। কাউন্টারে যাত্রী কম জানিয়ে তিনি বলেন, সকালে ৮টা গাড়ি গেছে। সব গুলোই যাত্রী পূর্ণ করে গেছে। দুপুরে আরও ২টা গাড়ি আছে। সেগুলোর কোন স্ট্যান্ডিং টিকেট নাই।
গোপালগঞ্জগামী সেবা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বিকালে ২-৩ টা বাস আছে। বাসের কয়েকটা টিকিট বিক্রি হয়নি। এবার যেহেতু লম্বা ছুটি যাত্রীরা আগেই বাড়ি গেছে। অতিরিক্ত যাত্রী না হওয়ায় আমরা ট্রিপের বাইরে নতুন কোন বাস নামাতে পারিনি।
Advertisement
এসএম/এসআইটি/জেআইএম