শেষ ওভারে প্রয়োজন ২৯ রান। ৬ বলে ২৯ রান নিয়ে জয় হয়তো সম্ভব। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসম্ভব। সেই অসম্ভব কাজটিই প্রায় সম্ভব করে ফেলেছিলেন আশুতোশ শর্মা এবং শশাঙ্ক সিং। দু’জন মিলে তুলে ফেলেছিলেন ২৬টি রান। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত মাত্র ২ রানেই পাঞ্জাব কিংসকে হারালো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
Advertisement
ঘরের মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্যাট কামিন্সের দল সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৮২ রান। জবাবে শিখর ধাওয়ানের দলের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৬ উইকেটে ১৮০ রানে।
মূলত এই ম্যাচে পাঞ্জাবকে ডুবিয়েছে তাদের ব্যাটিং। প্যাট কামিন্স, ভুবনেশ্বর কুমারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পুরো ইনিংসেই অস্বস্তিতে ভুগতে হয়েছে পাঞ্জাবের ব্যাটারদের। তবুও শেষ বল পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়েও ম্যাচটা জিততে পারলো না পাঞ্জাব।
টস জিতে ঘরের মাঠে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। আরশদিপ সিংয়ের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ তেমন কাজে লাগাতে পারেনি হায়দরাবাদ।
Advertisement
তবুও অখ্যাত ব্যাটার নিতিশ রেড্ডির ৬৪ রানের ইনিংসের সুবাদে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে যান কামিন্সের দল। হায়দরাবাদের ইনিংসের শুরুটা খারাপ করেননি ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। যদিও বড় রান পেলেন না। হেড ১৫ বলে ২১ রান করেন। ৪টি বাউন্ডারির মার মারেন।
অভিষেকের ব্যাট থেকে এলো ১১ বলে ১৬ রান। ২টি চার এবং ১টি ছক্কায়। রান পেলেন না তিন নম্বরে নামা এইডেন মারর্কামও (০)। মোহালির ২২ গজে ব্যর্থ হলেন রাহুল ত্রিপাঠি (১১), হেনরিক ক্লাসেনের (৯) মতো ব্যাটাররাও।
ধারাবাহিক উইকেট হারানোর মধ্যেই দলের ইনিংসকে টানলেন চার নম্বরে নামা নিতিশ। তার ইনিংসই মূলত কামিন্সদের লড়াই করার মত জায়গায় পৌঁছে দেয়। তাকে কিছুটা সঙ্গ দিলেন আবদুল সামাদ। তার ব্যাট থেকে এল ১২ বলে ২৫ রানের ইনিংস। নিতিশ খেললেন ৩৭ বলে ৬৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ৪টি চার এবং ৫টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে।
পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে সফল আরশদিপ ২৯ রানে ৪ উইকেট নিলেন। এদিন বাঁ-হাতি পেসারের বল সামলাতে সমস্যায় পড়লেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। এ ছাড়া ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট হার্ষল প্যাটেলের। ৪১ রানে ২ উইকেট নেন স্যাম কারেন।
Advertisement
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাঞ্জাব। ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ধাওয়ান (১৪), জনি বেয়ারস্টো (০), প্রাভসিমরান সিংরা (৪) পরপর ফিরে যান। বেয়ারস্টোকে আউট করেন কামিন্স। অন্য দু’জনকে ভুবনেশ্বর। দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করলেও বড় রান করতে পারলেন না কারেন। তিনি ২২ বলে ২৯ করেন ২টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে।
এর পর দলের ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা করেন সিকান্দার রাজা এবং শশাঙ্ক সিংহ। তারাও সফল হলেন না। রাজা করলেন ২২ বলে ২৮। কিছুটা চেষ্টা করলেন জীতেশ শর্মাও। ১টি করে চার এবং ছয়ের সাহায্যে তিনি করলেন ১১ বলে ১৯ রান। শশাঙ্কের ব্যাট থেকে এল ২৫ বলে ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৬টি চার, ১টি ছয় মারলেন। আশুতোষ শর্মা অপরাজিত থাকলেন ১৫ বলে ৩৩। মারলেন ৩টি চার ২টি ছয়।
কামিন্স, ভুবনেশ্বর ছাড়া টি নটরাজন, উনাদকাটও ভাল বল করলেন। উইকেট নিলেন নিতিশও। ভুবনেশ্বর ৩২ রানে ২ উইকেট নিলেন। হায়দরাবাদ অধিনায়ক ১ উইকেট নিলেন ২২ রান দিয়ে। নটরাজন ১ উইকেট পেলেন ৩৩ রানে। নীতীশও ৩৩ রান খরচ করে ১ উইকেট পেলেন। উনাদকাট ১ উইকেট নিলেন ৫৬ রান খরচ করে।
আইএইচএস/