জাতীয়

শেষ দিনে চাপ নেই সদরঘাটে, লঞ্চ ছাড়ছে ঢিমেতালে

ঈদুল ফিতর ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই ঘরে ফিরছে মানুষ। শেষ মুহূর্তে সড়ক, নৌ ও রেল সব পথে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। মঙ্গলবার বিকেলেও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায় ঈদযাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। তবে শেষ দিনের ঈদযাত্রায় অর্থাৎ ঈদের আগের দিন লঞ্চঘাটে নেই যাত্রীচাপ। ঘাটে যাত্রী সংকটের কারণে লঞ্চগুলোকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

Advertisement

বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৪৯টি লঞ্চ সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ভিড়লেও এসময়ে ছেড়ে গেছে ৩৫টি লঞ্চ।

সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে যাত্রীদের বাড়তি চাপ নেই লঞ্চঘাটে। যাত্রী উপস্থিতিও হাতেগোনা। ঘাটে অপেক্ষমান লঞ্চগুলোতে নেই আগের দিনের মতো হাঁকডাক।

আরও পড়ুন

Advertisement

শেষ বিকেলে সদরঘাটে যাত্রীর চাপ সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

ভোলাসহ দু-একটি রুটে মোটামুটি যাত্রী থাকলেও এদিন অন্য রুটগুলোতে কম যাত্রী নিয়েই লঞ্চগুলোর টার্মিনাল ছাড়তে হচ্ছে।

এমভি তরঙ্গ-৭ লঞ্চের স্টাফ শিমুল জাগো নিউজকে বলেন, আমগো লঞ্চ রাতে আসছে। কিন্তু যাত্রী তো নাই। ছাড়লে রাতেই ছাড়তে হইবো। যদি ঠিকমতো যাত্রী পাই তাইলে ভালো। নইলে তো বিপদ আমগো। আগে এমন সময় অনেক যাত্রী পাইতাম। এহন তো কিছুই পাই না।

ঢাকা-বরিশাল-বরগুনা রুটে চলাচল করা শাহরুখ-২ লঞ্চের লস্কর আব্দুস সালাম জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার দিনগত) রাত ২টায় আমাগো লঞ্চ ঘাটে ভিড়ছে। কিন্তু যাত্রী নাই। মনে হয় না বিকেলের আগে ছাড়তে পারুম। যাত্রী ছাড়া ছাড়ুম কেমনে, কন? আগে ঈদের দিনও কত ভিড় অইতো। আমরা খুব কষ্টের মধ্যে আছি। এহন লঞ্চের খরচ উডানোই দায়।

আরও পড়ুন

Advertisement

ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক-পিকআপে বাড়ি ফিরছেন মানুষ পদ্মা সেতুতে একদিনে প্রায় ৫ কোটি টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের বার্থিং সারেং শেখ মো. আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ঈদযাত্রার শেষ দিনে আজ যাত্রী অনেক কম। সকাল থেকে লঞ্চও ছাড়ছে কম। ছোট লঞ্চগুলোই বেশি ছাড়ছে। সকাল থেকে ৩৫টি লঞ্চ ঘাট ছেড়ে গেছে। গতকাল বিকেলের পর অনেক চাপ গেছে। আজ তেমনটি হবে বলে মনে হচ্ছে না।

বরিশালের যাত্রী আব্দুল হালিম জাগো নিউজকে বলেন, মনে করেছিলাম সকাল সকাল এসে লঞ্চ পাবো। কিন্তু এখন তো দেখছি যাত্রী কম হওয়ায় রাতের আগে লঞ্চই ছাড়বে না। কী করবো বুঝতে পারছি না। বেশি দেরি হলে বাসে চলে যেতে পারি।

আইএইচআর/এমকেআর/এএসএম