পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে শেষ দিনেও বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। সকাল থেকেই বাস কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন অনেকে। তবে শেষ দিনেও বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেক যাত্রী।
Advertisement
বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে ধোলাইপাড় বাসস্ট্যান্ড ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
যাত্রীরা বলছেন, ঈদে বাড়ি ফেরা জরুরি, সেই সুযোগ নিচ্ছেন বাস কর্তৃপক্ষ। বাড়তি ভাড়া দাবি করছেন তারা। অন্যদিকে বাস কর্তৃপক্ষ বলছে, কোন বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। যেটা ন্যায্য ভাড়া সেটাই নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদকের সামনেই ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান বিএম লাইন পরিহনের শ্রমিক ও যাত্রীরা। খুলনার ভাড়া ৬০০ টাকা দাবি করলেও যাত্রী দাবি করেন সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া। এ নিয়ে তীব্র বাকবিতণ্ডার পর একজন সার্জেন্টের মধ্যস্ততায় সুরাহা হয়।
Advertisement
ট্রাক ড্রাইভার মো. আলাউদ্দিন জাগোনিউজকে বলেন, আমি সাড়ে ৩০০ টাকায় বাড়ি যাই। এখন চাচ্ছে ৬০০ টাকা। অনেক বেশি ভাড়া চাইতেছে। এখন ন্যায্য ভাড়ার কথা বলায় আমার উপর ক্ষেপেছে তারা।
আরও পড়ুন
সদরঘাটের পথে নেই যানজট, স্বস্তি ঈদযাত্রীদের ঈদে দুদিন মেট্রোরেল বন্ধবিএম লাইন পরিবহনের স্টাফ আশরাফুজ্জামান জাগোনিউজকে বলেন, আমাদের গাড়িতে সরকার নির্ধারিত ভাড়া যেটা সেটিই নিচ্ছি। উনি বলছেন সাড়ে ৩০০ টাকায় বাড়ি যায়, এটা একদম মিথ্যা কথা। তার কথা ঠিক না। আমরা তারপরও বলেছি ৫০ টাকা কম দেন। কিন্তু সে সেটাও মানতে রাজি না।
এদিকে অন্যান্য পরিবহনেও বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। ভাড়া দ্বিগুন নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। বরিশালগামী যাত্রী সুজন মৃধা জাগোনিউজকে বলেন, আমরা সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়ায় নিয়মিত যাই। অথচ এরা ভাড়া চাচ্ছে ১২০০ টাকা। এটা কেমন কথা বলেন? এভাবে সুযোগ নেওয়া ঠিক হচ্ছে না। এগুলো দেখারও তো কেউ নেই।
Advertisement
আইএইচআর/এসআইটি/এএসএম