দেশজুড়ে

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের পরিচয় মিলেছে

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের পরিচয় মিলেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।

Advertisement

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সদরে তিনজন, ত্রিশালে চারজন ও তারাকান্দায় একজন নিহত হয়েছেন।

সদর উপজেলায় নিহতরা হলেন, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার লুৎফর রহমান (৩০) তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন (২৫) ও তাদের দুই বছরের শিশু মাহিন। স্বামী-স্ত্রী দুজনে ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিতে মাহিন্দ্রা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন লুৎফর রহমানসহ একই পরিবারের চারজন। সকাল ১০ টায় সদর উপজেলার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা টাঙ্গাইলগামী প্রান্তিক সুপার বাসের পিছনে ধাক্কা দেয় মাহিন্দ্রা। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বছরের শিশু মাহিন মারা যায়। আহত হন লুৎফর রহমান ও তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন এবং লুৎফর রহমানের ভাই মুজাহিদ (৬)। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লুৎফর ও শাহনাজকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশু মুজাহিদ চিকিৎসাধীন।আরও পড়ুন

Advertisement

ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত ৮

তিনি বলেন, মহাসড়কের যানজট এড়াতে মাহেন্দ্রা যোগে বাইপাস হয়ে শেরপুর যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন নিহতরা। এ ঘটনার পর বাসচালক পালিয়েছে। তাদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ত্রিশালে নিহতরা হলেন, দুপুরে ত্রিশাল উপজেলার কাজিরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা নাসিমা আক্তার (৩৫), জিহাদ মিয়া (২৪)। সকালে একই উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আপেল মিয়া (২৫) ও মারুফ হোসেন (১৮) নামে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আপেল মিয়া নান্দাইল উপজেলার ও মারুফ হোসেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, দুপুরে ত্রিশালের বালিপাড়া সড়কে বাসের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়। এর আগে সকালে একই উপজেলার পৌর এলাকার দরিরামপুর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুই পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হন। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় চারজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, ময়মনসিংহ থেকে একটি বাস ধোবাউড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে ডেওয়াতলী এলাকায় যেতে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আবুল বাশার (৫৫) নামে এক যাত্রী নিহত হয়। তিনি একই উপজেলার টিংগুলিয়া কান্দা গ্রামের মেহের আলী মুন্সির ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও বাস জব্দ করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Advertisement

মঞ্জুরুল ইসলাম/এমএএইচ/