বিরাট কোহলি ঠিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই নন, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলির বদলে তরুণ কাউকে দলে রাখার চিন্তা করছে টিম ম্যানেজম্যান্ট- ভারতীয় গণমাধ্যমে এমন খবর আসছে অনেকদিন ধরেই।
Advertisement
অনেকেই বলছিলেন, এবারের আইপিএলে ভালো না করতে পারলে কোহলির টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। সেই কোহলির হাত ধরেই আইপিএলের এবারের আসর পেলো প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। তাই বলে কি সমালোচনা থেমেছে? না। কারণ হলো স্ট্রাইকরেট।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর গত ম্যাচেই রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি। অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন ৬৭ বলে। আইপিএলে যা যুগ্মভাবে মন্থরতম।
চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে তিনটি ৫০ প্লাস স্কোর করেছেন কোহলি। এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরি। কিন্তু কোহলির সেঞ্চুরির পরও হেরেছে দল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে স্ট্রাইকরেট নিয়ে। এবার স্ট্রাইকরেট ইস্যুতে কোহলির পাশে দাঁড়ালেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা।
Advertisement
জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ‘মন্থর’ কোহলিকে রাখা উচিত কিনা? এমন প্রশ্নে ব্রায়ান লারা বলেন, ‘স্ট্রাইকরেট সবসময়ই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। একজন ওপেনারের ক্ষেত্রে ১৩০-১৪০ স্ট্রাইকরেট ঠিকঠাক। কিন্তু মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে এলে ১৫০-১৬০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং জরুরি। এবারের আইপিএলেই আমরা দেখেছি, পরের দিকে ব্যাটাররা ২০০ স্ট্রাইকরেটেও খেলছেন।’
কোহলির ক্ষেত্রে তাহলে কী হওয়া উচিত? আইপিএলে ওপেন করলেও জাতীয় দলে কোহলি তিনে নামেন। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি মনে করেন, কোহলির অবশ্যই দলে থাকা উচিত।
লারার কথা, ‘বিরাটের মতো ওপেনারের ক্ষেত্রে ১৩০ স্ট্রাইকরেটে শুরু করাটা মন্দ নয়। তবে যতটা সময় ক্রিজে কাটাবে সেই অনুযায়ী গতি বাড়ানো প্রয়োজন। পরের দিকে সেটা ১৬০-র বেশি নিয়ে যেতে পারলে ভালো। তবে আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, বিশ্বকাপে ভারতের টপ অর্ডার কী হওয়া উচিত, পরিষ্কার বলব-রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং শুভমান গিল। সবকিছু ভেবেই বলছি।’
এমএমআর/এএসএম
Advertisement