দেশজুড়ে

লক্ষ্মীপুরের ১১ গ্রামে ঈদ বুধবার

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করেবেন লক্ষ্মীপুরের ১১ গ্রামের মানুষ সহস্রাধিক মানুষ। মাওলানা ইসহাকের (রহ.) অনুসারী হিসেবে ৪৬ বছর ধরে এ নিয়ম পালন করে আসছেন তারা।

Advertisement

বুধবার (১০ এপ্রিল) রামগঞ্জ পৌরসভার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদরাসা, দক্ষিণ পূর্ব তালিমুল কুরআন মাদরাসা ঈদগাহ, রামগঞ্জের চারটি ও রায়পুর উপজেলার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারোঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশৈই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছেন। তারা নিজ নিজ এলাকায় ঈদের জামাতের আয়োজন করেন। এবার রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব তালিমুল কুরআন মাদরাসা ঈদগাহ, পূর্ব বিঘা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, পশ্চিম নোয়াগাঁও জামে মসজিদে ও রায়পুরের কলাকোপা গ্রামে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

দক্ষিণ পূর্ব তালিমুল কুরআন মাদরাসা ঈদগাহের খতিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী। প্রত্যেকটি মাজহাবে একসঙ্গে সারা বিশ্বে ঈদের জামাত আদায় করার ফতোয়া রয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। আগে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম ছিল না। এজন্য মানুষ সৌদি আরবের একদিন পর ঈদ করতো। কিন্তু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত। এতে আমরা পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

Advertisement

কাজল কায়েস/এসআর/এএসএম