দেশজুড়ে

দৌলতদিয়ায় ভিড় থাকলেও নেই ভোগান্তি

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে আপন নীড়ে ফিরছেন দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলের মানুষ। ফলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় চাপ বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের।

Advertisement

সকাল থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এসময় তীব্র গরমেও সবার চোখেমুখে ছিল আনন্দের ছাপ।

পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে দৌলতদিয়া প্রান্তে আসা ঘরমুখো যাত্রীরা কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই বাস, মাইক্রোবাস, মাহিন্দ্রা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বাহনে করে গন্তব্যে রওয়ানা হচ্ছেন। তবে বরাবরের মতো এবার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। ঘাট এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপরতা দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতে সাধারণ যাত্রী ও যানবাহনের পাশাপাশি অধিক সংখ্যক মোটরসাইকেল পার হচ্ছে। লঞ্চেও আসছেন অসংখ্য যাত্রী। বিকেলে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Advertisement

ঘাট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে দুপুরে ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।

এসময় পুলিশ সুপার বলেন, আলোচনা সাপেক্ষ প্রতিটি টিকিট কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা টাঙানো রয়েছে। কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে এবং প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘরমুখো যাত্রী আশিকু রহমান, আমজাদ, ছানোয়ার হোসেন, আরমান শেখ বলেন, এবার সড়কপথে তেমন কোনো ভোগান্তি না হলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ছিল ১০০ টাকা, এখন নিচ্ছে দুইশ বা তারও বেশি।

তারা আরও বলেন, পদ্মা সেতুর চালু হওয়ার আগে এ রুটেই দীর্ঘসময় নদী পারের অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তি পোহাতে হতো। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে সেই ভোগান্তি দূর হয়েছে।

Advertisement

বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঘাটকে যানজট মুক্ত রাখতে ঈদের আগে তিনদিন ও পরের তিনদিন মোট সাতদিন পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি পচনশীল মালামালবাহী ট্রাক পারাপার অব্যাহত থাকবে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন বলেন, ঈদে ঘরমুখো যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহনগুলো নদী পার হতে পারছে। এবার ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়িতে পৌঁছাবে।

তিনি আরও জানান, বর্তমান দৌলতদিয়া প্রান্তের তিনটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আর ছোট-বড় মিলে চলাচল করছে ১৭টি ফেরি।

রুবেলুর রহমান/এসআর/জেআইএম