রাজনীতি

মহাদুর্নীতি ঈদুল ফিতরের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে: রিজভী

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, লুটপাট ও মহাদুর্নীতি কেড়ে নিয়েছে ঈদুল ফিতরের আনন্দ।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। বিশ্ব মুসলিমের এটি সর্বোচ্চ আনন্দ ও খুশির দিন। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই এ উৎসব উপভোগ করেন। কিন্তু এ বছরেও আবার জনগণের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়ায় জনজীবনের এ উৎসব ম্লান হয়ে হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ডামি সরকারের রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হরিলুট আর মহাদুর্নীতির কারণেই মানুষের শেষ হাসিটুকুও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঈদে আনন্দ উদযাপনের বিপরীতে মুখ লুকিয়ে কাঁদছেন মধ্যবিত্তরা। সমাজে তৈরি হয়েছে ধনী ও গরিবের বিশাল ব্যবধান। অধিকাংশ মানুষের সামান্য প্রয়োজন মেটানোই যেন দুঃস্বপ্ন।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতির কষাঘাতে জনজীবনে নিম্ন আয়ের মানুষের আর্তি শোনা যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম না টেনে বাজার সিন্ডিকেটের হোতাসহ সরকারের আস্থাভাজন ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা ব্যস্ত রয়েছে লুটপাট, দুর্নীতি ও বিরোধী মতদমন-পীড়নে। ৬ বছরের বেশি সময় ধরে অসুস্থ অবস্থায় বিনা অপরাধে মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে বন্দি রাখা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। এ ঈদও পরিবার ছাড়া বন্দি অবস্থায় তাকে পালন করতে হবে।

Advertisement

রিজভী বলেন, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৬০ শতাংশ কারখানার শ্রমিকরা মার্চ মাসের বেতন গতকাল (সোমবার) বিকেল পর্যন্ত পাননি। ঈদের উৎসব ভাতা বা বোনাস পাননি ১৪ শতাংশ কারখানার শ্রমিক। শ্রমিকরা বেতন না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। ওদের ঈদের আনন্দ চোখের পানিতে ভাসছে। সারাদেশে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংকট চরমে। শুধু রাজধানীতেই ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লোডশেডিং, আর গ্রামে-গঞ্জে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। তাহলে বিদুৎ খাতের লাখ লাখ কোটি টাকা গেলো কোথায় ?

তবুও ঈদ আনন্দের। না পাবার মাঝেও অনেক কিছু পাওয়া। তাই ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, হাসি এবং সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সংযম ও সম্প্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তী লাভ করুক, এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা, বলেন রিজভী।

কেএইচ/এমএইচআর/জেআইএম

Advertisement