শেষ সময়ে জমে উঠেছে বরিশালের হাজী মো. মহসিন হকার্স মার্কেট (ডিসি মার্কেট) ও বহুমুখী সিটি মার্কেটের বেচাকেনা। এতে ব্যস্ততম সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। এ দুই মার্কেটের বেশিরভাগ ক্রেতা নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন।
Advertisement
সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে নগরীর মার্কেট দুটি ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।
মহসিন মার্কেটের ক্যাশবন ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী আল-আমিন জাগো নিউজকে বলেন, ২০ রমজানের পর থেকেই বেচাকেনা শুরু হয়েছে। তবে ২৫ রমজানের পর থেকে আমাদের দম ফুরসত পাচ্ছি না। ঈদের জন্য এক চালান মাল এনেছিলাম। তার বেশিরভাগই শেষ হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে আরেক চালান মালামাল আনা হয়েছে।
আলামিনের দোকানে ৫০০-১২৫০ টাকায় জিনস, ৫০০-৮০০ টাকায় গ্যাবার্ডিন, পাঞ্জাবি প্রকারভেদে ৮০০-১৫০০, ৬০০-১১৯০ টাকায় শার্ট ও ৪০০-৬৫০ টাকায় টি-শার্ট পাওয়া যাচ্ছে।
Advertisement
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা কলেজছাত্র আকাশ জাগো নিউজকে বলেন, শুধু ঈদের সময় না, এ মার্কেট থেকে সারাবছরই শার্ট-প্যান্ট কিনি। এখানে দাম তুলনামূলক কম।
নগরীর বাজার রোড এলাকার লামিয়া আক্তার বলেন, চকবাজার, কাটপট্টি, গির্জা মহল্লায় বড় বড় শোরুমগুলোতে ঘুরে দেখেছি। ওইসব শোরুমের পোশাক আর এখানের পোশাক প্রায় একই। কিন্তু দামে বিশাল ফারাক। এখানে ড্রেসের দাম অনেক কম হওয়ায় এখান থেকেই কিনছি।
বহুমুখী সিটি মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সুজন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিবছর এখান থেকেই কেনাকাটা করি। এবার ঈদে নিজে কেনার পাশাপাশি ছোট ভাই ও ভাগিনার জন্য কিনেছি।
বহুমুখী সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ী আবরার আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ২০ রমজানের পর থেকেই তাদের বেচাকেনা বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তার ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেচাকেনা এতো বেড়েছে যে, পরিবারের সদস্যদের ফোন ধরারও সুযোগ পাচ্ছেন না।
Advertisement
এদিকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ও নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আড়াই হাজার সদস্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির। তিনি বলেন, নগরীর বিভিন্ন স্থানে ২৬২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নগরীর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
শাওন খান/এসআর/এমএস