বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় নারীসহ এ পর্যন্ত মোট ৫৬ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তারা সবাই সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গ্রেফতার ৪৯ জনকে তিনটি বাসে করে বান্দরবান সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমা উপজেলার বেথেল পাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে তাদের কাছ থেকে সাতটি দেশি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, কেএনএফের পোশাক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, দুই জোড়া বুট, একটি ছুরি ও বিভিন্ন সরঞ্জা উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
Advertisement
এসব তথ্য নিশ্চিত করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, রুমা ও থানচিতে হামলার ঘটনায় করা মামলায় ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরআগে সদরের শ্যারণ পাড়া থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে (৫৫) আটক করা হয়। তিনি বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড শারন পাড়া এলাকার মৃত রোয়াল খুব বমের ছেলে।
রোববার (৭ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, বান্দরবানে প্রথম কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশান নামে একটি সংগঠন গঠন করা হয়েছিল। যেখান থেকে যাত্রা শুরু করে ধীরে ধীরে কেএনএফ বর্তমান অবস্থায় পৌঁছায়। সেই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক ছিলেন চেওসিম বম। তার বাড়িতে বসেই নাথান বম ও জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজের জঙ্গি প্রশিক্ষণের চুক্তি হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফের জন্য তিনি টাকা সংগ্রহ করে আসছিলেন।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক লুট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে কেএনএফ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত আটটি মামলা করা হয়েছে। তারমধ্যে রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি।
Advertisement
নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/এমএস