পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে সড়কপথে ঢাকা থেকে বরিশাল পৌঁছাতে সময় কম লাগায় এ রুটে বেড়েছে বরিশালগামী যাত্রীদের চাপ। অন্যান্য বছরগুলোতে যাত্রীরা লঞ্চে এলেও দুবছর ধরে সড়কপথেই বাড়ি ফিরছেন বেশিরভাগ দক্ষিণাঞ্চলবাসী। ফলে লঞ্চগুলোতে এখন পর্যন্ত ভিড় দেখা যায়নি।
Advertisement
অনেকেই স্বল্প সময়ে ঢাকা থেকে বরিশাল আসতে বেছে নিচ্ছেন বাসযাত্রা। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নতুন নতুন বাস চালু করেছে এ রুটে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে একের পর এক বাসে ঢাকা থেকে বরিশাল আসছেন যাত্রীরা। বাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই যাত্রীদের এমন চাপ বেড়েছে। যাত্রীদের এ চাপ মঙ্গল ও বুধবার আরও বাড়বে।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। আগে যেখানে ৪৫০-৫০০ টাকার মধ্যে বরিশাল আসা যেতো, সেখানে এখন ৬০০-৭০০ টাকায় টিকিট কিনতে হচ্ছে।
Advertisement
সাদ্দাম হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে গোল্ডেন লাইন পরিবহনে বরিশাল পর্যন্ত অন্য সময়ের ভাড়া ৫০০ টাকা। অথচ ঈদ সামনে ৬৫০ টাকা নিয়েছে। কয়েকটি বাস কাউন্টার ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই আসতে হয়েছে।
সুমন নামের আরেক যাত্রী বলেন, আগে ঈদের ছুটিতে লঞ্চেই বরিশাল আসা হতো। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে বাসেই আসা-যাওয়া করি। কারণ তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা-বরিশাল আসা-যাওয়া করা যায়।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ান বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব ও যানজট নিরসনে বাস মালিক গ্ৰুপ ও প্রশাসনের উদ্যোগে যৌথ মিটিং করা হয়েছে। মিটিংয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাত্রীরা তার সুফল ভোগ করছেন। মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে কোনো যানজট ছাড়াই তারা বাড়ি ফিরছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) রুনা লায়লা বলেন, মেট্রোপলিটন এলাকায় ঘরমুখো মানুষ যেন নিরাপদে ও ভোগান্তি ছাড়া ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সড়কে যেন গাড়ি রেখে কেউ ভোগান্তি তৈরি না করেন সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে। ভোগান্তিমুক্ত যাত্রার নিশ্চয়তা দিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
Advertisement
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে লঞ্চর যাত্রী এখন অনেক কম। তবে ঈদ উপলক্ষে যাত্রীখরা কিছুটা কেটেছে। এখনো অনেকেই স্বস্তির যাত্রা হিসেবে নৌপথকেই বেছে নেন।
এসআর/এমএস