জমকালো ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে কলকাতার ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব। রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কলকাতার ইএম বাইপাসের কাছে অবস্থিত অভিজাত স্প্রিং ক্লাবে এই ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ।
Advertisement
‘বাংলার সম্প্রীতি বজায় থাক বাঙালির হাত ধরে’ এই শিরোনামে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সংসদ সদস্য এবং সিপিআইএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, মিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন, মিশনের কনস্যুলার (কাউন্সেলর) আলমাস হোসেন।
এই আয়োজনে আরও ছিলেন কলকাতার বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য, সংগীতশিল্পী সৈকত মিত্র, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর, বেসরকারি হাসপাতাল (এএমআরআই) সিইও রূপক বড়ুয়া, ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য মনোতোষ সরকার, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোতোষ কুমার সাহা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী, রন্ধন বিশেষজ্ঞ নয়না আফরোজ প্রমুখ।
তবে সংগীত শিল্পী কবীর সুমনের আসার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। যদিও পাশে থাকার শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। এছাড়াও বিমান বাংলাদেশ, সোনালী ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এই ইফতারে।
Advertisement
এদিনের ইফতারের আয়োজন ছিল কলকাতার আদলে। খেজুর, তরমুজ, বাঙ্গী, আঙুর, মুড়ি, পিয়াঁজু, আলুর চপ, বেগুনি। এরপর নৈশভোজে ছিল ভাত, ডাল, সবজি, মাছ, মাংস, মিষ্টি ও বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস।
মূলত কলকাতার বিভিন্ন প্রেসক্লাব অন্যান্য অনুষ্ঠান করলেও ইফতারের আয়োজন করে না। ফলে ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাবের ইফতারে আগ্রহ ছিল সমাজের সব স্তরের মানুষের। গতবার ছোট পরিসরে করলেও মানুষের উপস্থিতি বিপুল সাড়া ফেলেছিল। আর সে কারণেই এবছর বড় পরিসরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করে বাংলাদেশি গণমাধ্যমের ভারতীয় প্রতিনিধিদের সংগঠন ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাব।
ক্লাবের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পবিত্র সরকার বলেন, মানুষের জন্য ধর্ম- এই মূল কথাটা যদি মেনে নেই তবে এই কাজগুলো খুব জরুরি হয়ে ওঠে। এখানে সকল ধর্মের মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে যা অসাধারণ। খাওয়া দাওয়া আমাদের জীবনের একটা মৌলিক একটি বিষয়, খাওয়া-দাওয়া না থাকলে কোনো কিছুই থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই চারপাশের বন্ধুবান্ধবদের সাথে যেভাবে একসাথে খাওয়া দাওয়া করতে পারছি, এটাই বড় ব্যাপার। ইসলামসহ সব ধর্মে এই কথা উল্লেখ আছে।
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। ইফতারের সময় যে সার্বজনীন উৎসব পরিবেশ তৈরি হয় সেটা অসামান্য এবং পুরো বিশ্বজুড়ে তা হয়ে থাকে। কিন্তু ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব যে ইফতারের আয়োজন করেছে তা দেখে বরাবরের মতো আজও আমার মনটা ভরে গেল।
Advertisement
আরও পড়ুন:
পশ্চিমবঙ্গের সভায়ও কাশ্মীর ইস্যু, কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ মোদীর বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে শুধু মিথ্যা বলে: মমতা ‘মোদীর গ্যারান্টি জিরো, আমাদের গ্যারান্টি হিরো’বিমান বাংলাদেশের রিজিওনাল ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়াজী বলেন, অনেক সুন্দর আয়োজন, এবার বাংলা ও ওপার বাংলার মধ্যে সুন্দর একটা সেতুবন্ধন মনে হলো। সবারর উপস্থিতি খুব ভালো লেগেছে। এই ইফতার মাহফিলের মধ্যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একসাথে বসে কিছু সময় কাটালাম এটা অনেক মজার।
ডিডি/টিটিএন