বছর ঘুরে আবার দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নদীপথে ঢাকা ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ।
Advertisement
রোববার (৭ এপ্রিল) সরেজমিনে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এ চিত্র দেখা যায়। বরিশাল, ভোলা ও চাঁদপুর যাওয়া জন্য ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ। সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী উঠানোর হাঁকডাক দিচ্ছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। ঈদযাত্রা শুরুর পর থেকে আজ যাত্রীর চাপ তুলনামূলক অনেক বেশি।
লঞ্চ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর প্রভাব না থাকায় চাঁদপুর রুটে শিডিউল অনুযায়ী চলছে লঞ্চ। ভোলা অঞ্চলের লঞ্চগুলোতে দুপুর থেকে ভিড় করেছে যাত্রীরা। সকাল থেকে ভোলার বিভিন্ন রুটে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাকি লঞ্চগুলো ছেড়ে যাবে।
লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘ঈদযাত্রার শুরুর পর থেকে এত ভিড় হয়নি। আজ ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের ভিড় বেড়েছে। আগামী দুদিন যাত্রীর চাপ থাকবে।
Advertisement
এমভি ফারহান লঞ্চের কেবিনবয় লিটন জাগো নিউজকে বলেন, বরিশালের লঞ্চগুলো ৯টা থেকে ছাড়া শুরু করে। এরই মধ্যে ডেকের যাত্রীরা জায়গা নিয়েছেন। কেবিনও বিক্রি হচ্ছে। সারাবছর তো যাত্রী তেমন হয় না। ঈদ উপলক্ষে চারদিন যাত্রীর চাপ থাকবে।
এমভি বাহলিয়া লঞ্চের কেরানি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ভাড়া আগের মতোই আছে। অনেকে ২০ রমজানে অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারা আজ ও আগামীকাল যাবেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইয়াদ-১ লঞ্চে কথা হয় পটুয়াখালী বাউফলগামী যাত্রী হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাসেও যাই লঞ্চেও যাই। ঈদ উপলক্ষে ফ্যামিলি নিয়ে লঞ্চে যাওয়াই আরামদায়ক। কেবিন নিয়েছি সবাই মিলে আনন্দ-উল্লাস করতে করতে যাবে।
প্রিন্স আওলাদ লঞ্চের স্টাফ কবির হোসেন বলেন, রাত ৯টার পর থেকে বরিশালের সব লঞ্চ ছেড়ে যাবে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রী থাকলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না। ভিড় আছে, তবে পদ্মা সেতু হওয়ার পর আগের মতো ভিড় হয় না। আগে মানুষ তীব্র যানজট পেরিয়ে সদরঘাটে আসতে হতো, এখন আর সেভাবে ভিড় হয় না।
Advertisement
এদিকে লঞ্চযাত্রীদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও র্যাব।
আরএএস/এমএএইচ/জিকেএস