জাতীয়

একই লাইনে মুখোমুখি দুই ট্রেন, অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন রুটে চলাচলকালী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে। দুই ট্রেনের লোকোমাস্টারের দৃঢ়তা ও বিচক্ষণতায় সংঘর্ষ ও জানমালের ক্ষতি এড়ানো গেছে। ট্রেন দুটিতে প্রায় আটশ যাত্রী ছিলেন।

Advertisement

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের লোহাগাড়া ও চকরিয়া স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে গত শুক্রবারের (৫ এপ্রিল) এ ঘটনায় চকরিয়া স্টেশন মাস্টার আজিম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার বিষয়টি প্রকাশ হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস একই লাইনে বিপরীত প্রান্ত থেকে উঠে আসার ঘটনাটি গত শুক্রবারের। ভুলবশতই এমনটি হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিক স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। তাকে স্টেশন থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দুই ট্রেনের লোকোমাস্টাররা অভিজ্ঞ ছিলেন। তারা দুজন যখন বুঝতে পারেন ট্রেন দুটি বিপরীতমুখী একই রুটে উঠে এসেছে, তারা তখন পাহাড়তলী নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেন দুটি থামিয়ে দেন দুই লোকোমাস্টার।

Advertisement

আরও পড়ুন বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠার আগে তোলা ছবিটি এখন শুধু স্মৃতি, ৩ জনই না ফেরার দেশে ঈশ্বরদীতে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ

জানা গেছে, গত শুক্রবার ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছেড়ে দুপুর ১টা ২২ মিনিটে চকরিয়া স্টেশনে পৌঁছায়। চকরিয়া স্টেশনমাস্টার আজিম উদ্দিন কক্সবাজার এক্সপ্রেসকে চকরিয়া থেকে লোহাগাড়া স্টেশনে যাওয়ার জন্য সংকেত দেন। অন্যদিকে লোহাগাড়া স্টেশনমাস্টার পর্যটক এক্সপ্রেসকে লোহাগাড়া থেকে হারবাং স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার সংকেত দেন। রেলওয়ের পাহাড়তলী নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকেও দুই ট্রেনকে নির্ধারিত স্টেশনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। মূলত কক্সবাজার এক্সপ্রেসকে হারবাং স্টেশনে যাওয়ার সংকেত দেওয়ার নিয়ম থাকলেও স্টেশন মাস্টার ট্রেনটিকে লোহাগাড়া যাওয়ার সংকেত দেন। তাতেই বিপত্তি তৈরি হয়।

দুই স্টেশনমাস্টারের সংকেত পেয়ে ট্রেন দুটি চালাতে শুরু করেন দুই লোকোমাস্টার। এসময় পর্যটক এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রসুল কক্সবাজার এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মো. জাহেদুল ইসলামের সঙ্গে ফোনালাপে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান।

তখন জাহেদুল ইসলাম জানান, তিনি ট্রেন নিয়ে চকরিয়া থেকে লোহাগাড়ার দিকে রওনা দিয়েছেন। একইভাবে মোহাম্মদ গোলাম রসুলও জানান, তিনিও ট্রেন নিয়ে লোহাগাড়া থেকে হারবাং স্টেশনে যাচ্ছেন। তখন ট্রেন দুটি থামিয়ে হারবাং স্টেশনে লাইন পরিবর্তন করে দুর্ঘটনা এড়ানো হয়।

এমডিআইএইচ/এমকেআর/জিকেএস

Advertisement