দেশজুড়ে

ক্রেতায় ঠাসা পোশাকের দোকান, উল্টো চিত্র মসলা বাজারে

প্রচণ্ড গরমেও ক্রেতার কমতি নেই খুলনার ঈদবাজারগুলোতে। তবে পুরো উল্টো চিত্র মসলার বাজারে। হাতগুটিয়ে বসে থাকছেন ক্রেতারা। দোকানীরা বলছেন, আরও ২-১ দিন পর ভিড় বাড়বে তাদের দোকানগুলোতে।

Advertisement

শনিবার (৬ এপ্রিল) খুলনার বাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বেলা ১১টার পরপরই ভিড় বাড়তে থাকে খুলনার বাণিজ্য কেন্দ্রে। এখানে রয়েছে ১৭টি বাজার। যার মধ্যে ১৫টিই পোশাকের দোকান। বাকি বাজারগুলো নিত্যপণ্যের। যেখানে চাল, ডাল, তেল, মসলাসহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি হয়।

খুলনা বিপণী কেন্দ্র দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাসুম ও খুলনা শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জানান, এবছর রমজান মাসের মধ্যে গত ২৬ মার্চ ছিল ছুটির দিন। সেই দিন বেশ ভালো বেচাকেনা হয়। এরপর আর তেমন ব্যবসা হয়নি। তাছাড়া রোজার শেষ দিকে এসে প্রচণ্ড গরমের কারণে মার্কেটগুলোতে দিনের বেলায় ক্রেতার আগমন খুব একটা হচ্ছে না। ২৬ মার্চের পর শুক্রবার ও শনিবার ছুটি থাকায় একটু ভালো বেচাকেনা হয়েছে।

নগরীর ডাকবাংলো এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। ফুটপাত ও সড়ক দখল করে নতুন দোকান বসানো হয়েছে। এতে হাঁটার পথ সংকুচিত হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালেও তা কোনো কাজে আসছে না। পুলিশ চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও হকাররা আগের জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন। হেঁটে মার্কেটে প্রবেশ করতেই বেগ পেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। প্রতিটি দোকানই ক্রেতায় ঠাসা। ক্রেতা সামলাতে ব্যস্ত দোকানিরা কথা বলার ফুরসত পাচ্ছেন না।

Advertisement

তবে ডাকবাংলো এলাকার মার্কেটগুলো পেরিয়ে মহেন্দ্র দাসের মোড় এলাকায় নিত্যপণ্যের বাজারে গিয়ে দেখা যায় আগের সাধারণ দিনের মতোই কেনাকাটা করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।

এই বাজারের মসলা বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, ঈদের বাজার এখনও পোশাক বিক্রেতাদের দখলে। পোশাক কেনাকাটা হলে তারপর ক্রেতারা আসেন মসলাসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনতে। তাই এখানে এখন ঈদের বাজার জমেনি।

অপর বিক্রেতা সিরাজুল পাটোয়ারী বলেন, আমাদের কাছে যারা এখন কেনাকাটা করতে আসছেন তারা সবাই মাসের বাজার করছেন। ঈদের বাজার করতে এখনও তেমন কেউ আসছেন না। রোজা ২৭-২৮টা হলে তারপর নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ে বলেও জানান তিনি।

আলমগীর হান্নান/এফএ/এমএস

Advertisement