দেশজুড়ে

পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা, ৪০ শতাংশ হোটেল-রিসোর্ট বুকড

ঈদুল ফিতর এবং পহেলা বৈশাখ মিলে এবার বেশ বড় ছুটি মিলছে। আর সেই ছুটি কাজে লাগাতে এরই মধ্যে নানা পরিকল্পনা করছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। তাদের অনেকে ছুটে আসবেন অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটায়।

Advertisement

আর এসব পর্যটকদের বরণে প্রস্তুতি নিয়েছে বিভিন্ন হোটেল-রিসোর্ট। শুধু হোটেলই নয়, নিজেদের প্রস্তুতি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। শুরু হয়েছে অগ্রিম হোটেল বুকিং। এরই মধ্যে ৪০ শতাংশ হোটেল-রিসোর্ট বুকড হয়ে গেছে। পর্যটকদের বরণে হোটেল-মোটেলগুলো সেজেছে রঙিন সাজে। সাজানো হয়েছে যাতায়াতের পথগুলো। রঙিন হচ্ছে প্রতিটি হোটেলের কক্ষ।

হোটেল কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার পর্যন্ত প্রায় প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোর ৪০-৫০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোর ৩০-৪০ শতাংশ কক্ষ বুকড হয়ে গেছে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় স্টেক হোল্ডার, ১৬ পেশার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশের সমন্বয়ে একটি আলোচনা সভা করেন কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক মো. নুর কুতুবুল আলম।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম জানান, পুরো রমজান মাসজুড়ে পর্যটক শূন্য ছিল কুয়াকাটা। সেই সুযোগে হোটেল-মোটেলগুলো পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে। টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকদের আগমন ঘটবে কুয়াকাটায় এমনটাই আশা তাদের। সৈকতে দীর্ঘদিন পর্যটক কম থাকায় পুরো সৈকত জুড়ে তৈরি হয়েছে ভিন্নতা। শীত মৌসুমের শেষে বর্ষার শুরুতে সৈকতে উঁচু ঢেউ, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, বর্ষার একটি আমেজ উপভোগে অনেকেই ছুটে আসবেন কুয়াকাটায়।

Advertisement

হোটেল ডিমোরের ব্যবস্থাপক জয়নুল আবেদীন জুয়েল বলেন, আমাদের হোটেলে মোট ৩০টি কক্ষ রয়েছে। ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র এখন পর্যন্ত অনেক বুকিংয়ের ফোন আসছে। ইতোমধ্যে শুক্র ও শনিবারের জন্য ৪০ শতাংশ অগ্রিম বুকড হয় গেছে। আশা করছি বাকি দিনে পুরোপুরি বুকড হয়ে যাবে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে এরই মধ্যে সুইমিংপুল, হোটেলের বাড়তি সৌন্দর্য বর্ধনসহ নানা আয়োজন হাতে রেখেছি।

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, পর্যটকদের আগাম সম্ভাবনাকে ঘিরে আমরাও প্রস্তুতি নিয়েছি। যাতে পর্যটকদের পুরোপুরি সেবা ও বিনোদন দিতে পারি। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে অনেকগুলো বুকিং আসছে।

কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, ঈদকে ঘিরে সার্বিক প্রস্তুতি সেরেছে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। নিয়মিত নিরাপত্তার পাশাপাশি তিনজন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, স্কাউট থেকে বেশ কয়েকটি টিমে ভাগ করে স্বেচ্ছাসেবক ও সৈকতে রেস্কিউ টিমের সদস্য কাজ করবে। যাতে বাড়তি ভাড়া বা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন পর্যটকরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঈদের বন্ধে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেম্বুরবন থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম। জল ও স্থলপথে সার্বক্ষণিক আমরা পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত।

Advertisement

আসাদুজ্জামান মিরাজ/জেডএইচ/