চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার (১০ বা ১১ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এরই মধ্যে দূর-দূরন্তে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।
Advertisement
সড়কপথে রাজধানী ছাড়তে এখনো সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ভিড় জমিয়ে ওঠেনি। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে গাড়ি যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। স্টেশন অনেকটাই ফাঁকা। যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ এখনো সায়েদাবাদে পড়েনি। শবে কদরের পরের দিন অর্থাৎ রোববার থেকে ভিড় বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন গন্তব্যের বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা। তারা জানান, ভাড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে, পরিবহন মালিকরা জানিয়েছেন, বছরের অন্যান্য সময়ে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার কম ভাড়া নেওয়া হয়। এখনও বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
সায়েদাবাদে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারের কর্মী মো. রানা বলেন, এবার ছুটি লম্বা হওয়ায় মানুষ ধীরে ধীরে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সায়েদাবাদে ঈদ যাত্রীদের ভিড় নেই। কাল (রোববার) বিকেল থেকে ভিড় বাড়বে।
আরও পড়ুন:
সোমবার সন্ধ্যায় ঈদের চাঁদ দেখার আহ্বান সৌদির ঈদে ৬ দিন ছুটি পেলেন গণমাধ্যমকর্মীরাতিনি আরও বলেন, ঈদের আগে দুদিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তবে কিছু গাড়ি স্ট্যান্ডবাই থাকে, সেগুলোর যাত্রী এখন পাওয়া যাচ্ছে না।
নোয়াখালী রুটে চলাচল করা ইকোনো পরিবহনের একটি বাস সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়িচালক মাহবুব হোসেন বলেন, সাড়ে তিন ঘণ্টায় টঙ্গী থেকে সায়েদাবাদ আসছি। নোয়াখালী যাব। এখনো বাস ভরেনি। যাত্রী খুবই কম। গার্মেন্টস ছুটি না দিলে যাত্রী বাড়বে না।
Advertisement
এক যাত্রীর পিছু পিছু ছুটছিল এস আলম পরিবহনের কর্মী শহীদুল আলম। কিছুটা ব্যর্থ হয়েই ফিরে এলেন তিনি। তিনি বলেন, ঈদের যাত্রীরা এখনো সেভাবে আসতে শুরু করেনি। নাইলে কী এমনে যাত্রীর পেছনে ছুটি। এখন পর্যন্ত যাত্রী একেবারেই কম।
কুমিল্লা যাওয়ার জন্য সায়েদাবাদ এসেছেন হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, কুমিল্লার ভাড়া আড়াইশো টাকার মতো। কিন্তু ভাড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি চাচ্ছে। শুনছি বেশি ভাড়া নিলে শাস্তি হবে, কই সবাই তো বেশি নিচ্ছে। কেউ তো দেখছে না।
টিআর ট্রাভেলসের চট্টগ্রামের একটি এসি গাড়ি চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। এই বাসের যাত্রীর জন্য হাঁকডাক দিচ্ছিলেন শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের এসি বাসের ভাড়া ৮৫০ টাকা। ভাড়া ৭০০ টাকা চাচ্ছি তারপরও যাত্রীরা যাচ্ছে না।
আরএমএম/এমআরএম/জেআইএম