আবাহনীর শৌর্য-বীর্যর সামনে দাঁড়াতে পারলোনা লিজেন্ডস অব রূগগঞ্জ। মাশরাফি বিন মর্তুজার দলকে হেসেখেলে ৮ উইকেটে হারিয়ে টানা নবম জয় তুলে নিলো আকাশি-হলুদরা। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীই একা সবার ওপরে।
Advertisement
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আবাহনীর জয়ের মূল রূপকার তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। একাই তিনি ২৩ রানের বিনিময়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ইনিংসের অর্ধেকটার পতন ঘটিয়েছেন।
টেস্ট দল থেকে আবাহনী একাদশে ফিরে বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামও কম যাননি। তার ঝুলিতে জমা পড়ে ২৯ রানে ৩ উইকেট। আর তাসকিন আহমেদ পতন ঘটান ১৬ রানে ২ উইকেটের।
এই তিন পেসারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ৯৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। টেস্ট দল থেকে ফিরে সাদমান ইসলাম (০) আর অধিনায়ক মুমিনুল হক (৯) লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে কিছুই দিতে পারেনি। অভিজ্ঞ মাশরাফি এক ছক্কায় করেন ১৫ রান।
Advertisement
১০০ রানের মামুলি টার্গেট ছুঁতে আবাহনীর এতটুকু কষ্ট হয়নি। নাইম শেখ (৪) আর তাওহিদ হৃদয় (১০) অল্প সময়ে সাজঘরে ফিরলেও আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় (৩৪ বলে ৩৭) আর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত মাত্র ১৮ বলে ৫ চার আর ৪ ছক্কায় ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। আবাহনী মাত্র ১০.৪ ওভারেই জয় তুলে নেয়।
৯ ম্যাচে আবাহনীর ৯ জয়ের বিপরীতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ সমান খেলায় চতুর্থ পরাজয়ে (৯ খেলায় জয় ৫টিতে) নেমে গেল সাত নম্বরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ২৮.৩ ওভারে ৯৯/১০ (তুষার ২, সাদমান ইসলাম ০, ইমরানউজ্জামান ১৬, মুমিনুল হক ৯, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ১১, মাশরাফি বিন মর্তুজা ১৫, শামীম পাটোয়ারী ১৮; তানজিম সাকিব ৫/২৩, শরিফুল ইসলাম ৩/২৯, তাসকিন আহমেদ ২/১৬)। আবাহনী: ১০.৪ ওভারে ১০১/২ (এনামুল বিজয় ৩৭ অপরাজিত, নাইম শেখ ৪, তাওহিদ হৃদয় ১০, মোসাদ্দেক সৈকত অপরাজিত ৪৮; আল আমিন ১/৩৫, হালিম ১/২৬)।
ফল: আবাহনী ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: তানজিম সাকিব (আবাহনী)।
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম