স্বাস্থ্যের জন্য শসা কতটা উপকারী জানা সবারই কমবেশি জানা আছে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করতে শসার জুড়ি মেলা ভার। একটি শসায় প্রায় ৯০ শতাংশ পানি থাকে। যা মুহূর্তেই সতেজ করে তুলতে সাহায্য করে।
Advertisement
গরমে প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে শসা না হলে অনেকেরই চলে না। বিশেষ করে গরমে শসার সালাদ বেশিই খাওয়া হয়। তবে জানেন কি, এই শসা বেশি খাওয়াও বিপজ্জনক হতে পারে। শসায় থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীর ঠান্ডা রাখে। তবে এটি বেশি খেলে ক্ষতিও হিতে পারে, এমনটিই মত বিশেষজ্ঞদের।
ড্রাগস.কমের তথ্য অনুসারে, শসায় উপস্থিত কুকুরবিটেসিনের কারণে পেট ফুলে থাকা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। কুকুরবিটেসিনের কারণে শশায় তিক্ততা থাকে। অনেকেই আছেন ওজন কমানোর জন্য শসা অতিরিক্ত খান। যখনই খিদে পায় শসা খেতে শুরু করেন। ফলে ওজন কমার পরিবর্তে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শসা যদিও একটি স্বাস্থ্যকর ফল। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া ভালো নয়। ওজন কমাতে যদি সব সময় শসা খান তাহলে অন্যান্য ভিটামিন থেকে আপনার শরীর বঞ্চিত হবে ও আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। শসা খেতে হবে তবে পরিমাণ অনুযায়ী।
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, শসার খোসায় অধিক পরিমাণে কুকুরবিটেসিন পাওয়া যায়। তাই এটি ভালো করে ধুয়ে, খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত। অনেকেরই শসায় অ্যালার্জি থাকে। ফলে এটি খেয়েই চুলকানি, মুখ ফুলে যাওয়া, গলায় সংক্রমণ ইত্যাদির মতো সমস্যা দেখা যায়।
আরও পড়ুন
গরমে ঠান্ডা পানি পান করা কি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ? তরমুজ খাওয়ার পর যে ভুলে পেট ফুলে ওঠেশসায় ৯০ শতাংশ পানি থাকে। এটি আপনার কিডনির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। শসায় থাকা অত্যধিক পানি রক্তনালি ও হার্টের উপর চাপ তৈরি করে যা কিডনির ক্ষতি হতে পারে। যেহেতু শসায় বেশি পানি থাকে, তাই এটি অতিরিক্ত খেলে বারবার প্রস্রাবের সমস্যাও হতে পারে। ফলে শরীর আরও পানিশূন্য হয়ে পড়তে পারে। শসায় থাকা ভিটামিন সি এর পরিমাণও অতিরিক্ত হয়ে গেলে ব্রণ, ক্যানসার, অকাল বার্ধক্য ইত্যাদির মতো সমস্যার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
এছাড়া লেবুর সঙ্গে কখনো শসা খাবেন না। কারণ এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই সালাদে লেবুর সঙ্গে শসা খাওয়াও বিপজ্জনক। রাতে শসা খাওয়ার অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো গ্যাসের সমস্যা। শসার কিউকারবিটাসিনের ফলে পেট ফাঁপা ও ফোলাভাব হয়।
Advertisement
শসা খাওয়ার সঠিক সময় কখন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে এই ফল কখনই খাবেন না। এতে বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা আপনার ঘুমেরও ব্যাঘাত পর্যন্ত ঘটতে পারে।
এছাড়া খুব ভারী খাবারের সঙ্গেও রাতে শসা খাবেন না। আপনার যদি পেটের সমস্যা থাকে, তাহলে এটি এড়িয়ে চলুন। ইচ্ছে হলে দুপুরে খাবার খাওয়ার সময় কয়েক টুকরো খেতে পারেন।
সূত্র: স্টাইলস্যাটলাইফ/ওয়েবএমডি
জেএমএস/এএসএম