অর্থনীতি

যমুনা ফিউচার পার্কে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা

বছর ঘুরে আবার দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। জমে উঠেছে দেশের ঈদ-বাজার। দেশের অন্য মার্কেটগুলোর মতো রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা। ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া শনিবার (৬ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই পছন্দের জামা-কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ক্রেতারা।

Advertisement

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বিকেল ও সন্ধ্যা নাগাদ যমুনায় ক্রেতাদের ভিড় আরও বাড়বে। রোববারও (৭ এপ্রিল) ক্রেতাদের চাপ থাকবে। তাই শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পণ্যে ছাড় দিচ্ছেন বিক্রেতারা।

শনিবার সকাল থেকে ঈদসামগ্রী কিনতে ক্রেতারা যমুনায় আসতে শুরু করেন। দুপুর নাগাদ শপিংমলে ভিড় দেখা গেছে। এর মধ্যে শাড়ি, জামা-কাপড়, জুতা, গয়না, ঘড়ি, কসমেটিকস পণ্যের শোরুমে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি। যেসব শোরুমে ছাড় বেশি চলছে, সেখানে বেচাবিক্রি বেশি দেখা গেছে।

স্কুলপড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের নিয়ে যমুনায় কেনাকাটা করতে আসছেন বনশ্রীর বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ঈদে নতুন জামাকাপড় কেনার জন্য আসছি। এখন ছেলের জন্য পায়জামা-পাঞ্জাবি ও প্যান্ট কিনবো। মেয়ের জন্য থ্রি-পিস কিনবো। তারপর স্ত্রীর জন্য শাড়ি ও নিজের জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনবো।’

Advertisement

কালাচাঁদপুরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। নিজের জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনতে এক শোরুম থেকে আরেক শোরুমে ছুটছেন। আলাপাকালে তিনি বলেন, ‘রমজানের প্রথম দিকেই পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড় কিনেছি। ঈদ করার জন্য দুদিন আগে তারা গ্রামের বাড়িতে গেছে। এখন নিজের জন্য একটা পাঞ্জাবি দেখছি। এক শোরুম থেকে আরেক শোরুমে ঘুরছি। নিজের বাজেটের মধ্যে পেলে কিনবো।’

প্রথম রমজানে যমুনা ফিউচার পার্কে বাচ্চাদের জামা-কাপড়ের শোরুম চালু করেছে রিদজানিয়া। এখানে ৬ মাস থেকে ১২ বছরের শিশুদের হরেক রকম ডিজাইনের জামা-কাপড় রয়েছে। জানতে চাইলে রিদজানিয়ার ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান মাহবুব জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের শোরুমে প্রধান আকর্ষণ বাচ্চাদের জামা। সব জামা খুবই সফট, গরমে খুবই আরাম। ৯৫০ থেকে ১৮০০ টাকায় তা বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন শোরুম হওয়ায় বেচাবিক্রি কিছুটা কম। আগামীতে শোরুমের পরিচিতি বাড়লে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করি।

ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, পোলো শার্ট সবধরনের জামা-কাপড়ের পসরা সাজিয়েছে এমব্রেলা। এখানে ৬ মাস থেকে ১২ বছরের শিশু ও বড়দের সবধরনের জামা-কাপড় রয়েছে। এর মধ্যে অনেক পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক পারভেজ আহমেদ বলেন, আমাদের এক শোরুমে সব বয়সী ক্রেতাদের জামা-কাপড় রয়েছে। বিশেষ পণ্য ছাড়ও চলছে। ফলে রমজানের শুরু থেকে বেচাবিক্রি ভালোই চলছে।

এমএমএ/এমএএইচ/জেআইএম

Advertisement