দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। এরই মধ্যে স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। ফলে শনিবার (৬ এপ্রিল) থেকেই বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
শনিবার রাজধানীর কল্যাণপুরের বেশ কয়েকটি কাউন্টার ঘুরে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। যদিও বাস কাউন্টার থেকে দাবি বিআরটিএ এবং বাস মালিকদের সংগঠন নির্ধারণ করেছে এই ভাড়া।
এস, আর পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, বাড়তি ভাড়া সংবলিত একটি ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে ভাড়ার তালিকায় দেখা যায় ঢাকা টু বগুড়া ভাড়ার তালিকা যথাক্রমে নন এসি, ইকোনোমি এসি এবং হুন্দাই এসির ভাড়া ৫৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ এবং ১ হাজার ৭০০ টাকা। ঢাকা টু নওগাঁ ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। ঢাকা টু জয়পুরহাট/হিলি ভাড়া ৯০০ টাকা থেকে শুরু করে যথাক্রমে ১ হাজার ৫০০ এবং ২ হাজার টাকা। ঢাকা টু গাইবান্ধা ৯০০ টাকা। ঢাকা টু রংপুর ৮৭০ থেকে শুরু যথাক্রমে ১ হাজার ৬০০ এবং ২ হাজার ৮০০ টাকা। ঢাকা টু দিনাজপুর এবং ঢাকা টু নীলফামারী ২ হাজার ৫০০ টাকা। ঢাকা টু বুড়িমারী ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন
Advertisement
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি হয়ে যাওয়ায় এবং ভোগান্তি এড়াতে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে নাটোরে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মশিউর রহমান। পরিবার নিয়ে বাসের জন্যে অপেক্ষা করছেন কল্যাণপুর ন্যাশনাল ট্রাভেলস কাউন্টারে। সেখানেই কথা হয় তার সঙ্গে। মশিউর রহমান অভিযোগ করে জানান, সাধারণত এসি বাসের ভাড়া কল্যানপুর থেকে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে হলেও ঈদ উপলক্ষে দুই হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এতে তার জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বেশি ভাড়া কেনো নেওয়া হবে জানতে চাইলে কাউন্টার থেকে কখনো কোন সদুত্তর পাওয়া যায়না। বরং আরও রোষানলে পড়তে হয় পরিবহন শ্রমিকদের কাছে। তাই অনেকটা নিরবেই সব সহ্য করে ঢাকা ত্যাগ করছেন যাত্রীরা।
এস আর পরিবহনে করে সকাল সাড়ে ৮টায় গাড়িতে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ইসমাঈল হোসেন। চার সদস্যের পরিবার নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বাড়তি ভাড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলেও তিনিও অভিযোগ করেন, ঈদ সামনে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বাস কাউন্টার থেকে সাধারণত ৫৫০ টাকায় অতীতে টিকিট বিক্রি হলেও সেই টিকিট ৭৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে কল্যাণপুরে ন্যাশনাল ট্রাভেলসের কাউন্টারের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে স্বাভাবিক ভাবেই একটু ভাড়া বেশি থাকে। তবে নন এসি বাসে কোন বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র এসি বাসের ক্ষেত্রে একটু বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করছি। যদিও তার দাবি এই বাড়তি ভাড়া বিআরটিএ এবং পরিবহন মালিকদের সমম্বয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই ভাড়ার চার্ট বা তালিকাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাড়ার তালিকার বাইরে কোন বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি জানান, সাধারণত এসি বাস পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে গেলেও ফেরে একেবারে খালি হয়ে। তাই বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া নিতে হচ্ছে মালিকদের।
এমওএস/এসআইটি/এমএস
Advertisement