জাতীয়

ফুটপাতের একদরের দোকানে ক্রেতার ভিড়, বিক্রিও ভালো

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। এখন শেষ সময়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত অনেকেই। রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়। পাশাপাশি জমে উঠেছে ফুটপাতের কেনাবেচাও।

Advertisement

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দেখা যায়, শুধু শপিংমল নয়, ফুটপাতের দোকানেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তুলনামূলকভাবে দাম কম হওয়ায় এখান থেকেই পছন্দের পোশাক কিনছেন অনেকেই। নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতেও একদামে বিক্রি হয় কাপড়, ফলে ক্রেতারাও দরদাম করা ছাড়া স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছেন। এছাড়া স্বল্প আয়ের মানুষের শেষ ভরসাও ফুটপাতের দোকানে।

বিক্রেতারা জানান, দোকান ভাড়া সেভাবে না থাকায় এবং খরচ কম হওয়ায় অনেকটা কম দামে কাপড় বিক্রি করতে পারেন তারা। তাই তাদের দোকানে ক্রেতা সমাগমও বেশি।

ফুটপাতের এসব দোকান ঘুরে দেখা যায়, ছেলেদের টি-শার্ট ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। জিনসের প্যান্ট ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, শার্ট ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মেয়েদের প্লাজু ১০০ টাকা, জামা ৩০০ টাকা, ওড়না ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বাচ্চাদের হাফ প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়, সুতি কাপড়ের জামা মিলছে ৩০০ টাকায়।

Advertisement

আরও পড়ুনমতিঝিল-গুলিস্তানের ফুটপাতের দোকানিরা হতাশ ইসলামপুরে পাইকারি বেচাকেনা শেষ, জমে উঠেছে খুচরা বাজার চারশোর বেশি নতুন ডিজাইন নিয়ে ওয়াকার ফুটওয়্যারের বর্ণিল ঈদ কালেকশন 

পাশাপাশি নারীদের ব্যাগ ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, জুতা ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকসসহ নানান সব জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতের দোকানে।

ফুটপাতে কাপড় কিনতে আসা হুমায়ূন বলেন, ‘মার্কেট ঘুরে দেখলাম, অনেক দাম চায় কাপড়ের। বাধ্য হয়ে ফুটপাত থেকে কিনলাম। এখানকার কাপড়ের মানও ভালো। পার্থক্য শুধু মার্কেটের ভেতরে আর এগুলো ফুটপাতে।’

আরেক ক্রেতা রাখী বলেন, ‘মার্কেট থেকেও কিনেছি, ফুটপাত থেকেও কিনেছি। গরমের হালকা কাপড় কেনার জন্য ফুটপাতই ভালো। এখানে দাম কম, আর কাপড়ের মানও ভালো। ঈদের কেনাকাটা করলাম। তবে এত লোকজনের ভিড়ে আর প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।’

ফুটপাতের কাপড় বিক্রেতা সাকিব বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ক্রেতা এখন অনেক বেশি। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। আমাদের এখানে কাপড় দামাদামি করা লাগে না, সব একদামে বিক্রি করি।’

Advertisement

এনএস/কেএসআর/এএসএম