সুইডেনে বারবার পবিত্র কোরআন পোড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাপী; বিশেষ করে, মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত ব্যক্তি হলেন ইরাকি নাগরিক সালওয়ান মোমিকা। সম্প্রতি তার মৃত্যুর খবর চাওর হয়েছিল। তবে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি মারা যাননি। তাকে নরওয়ে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও বর্তমানে সুইডেনে নির্বাসনে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
Advertisement
এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বার বার পবিত্র কোরআন পোড়ানোর দায়ে মুসলিম বিশ্বের চাপের মুখে সুইডেন সরকার সালওয়নকে বসবাসের অনুমতি পুনঃনবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তিনি আশ্রয়ের আশায় প্রতিবেশী দেশ নরওয়েতে গিয়েছিলেন ইরাকি খ্রিস্টান এই নাগরিক।
আরও পড়ুন:
কোরআন পোড়ানো বন্ধ করতে পুলিশের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে সুইডেন
Advertisement
সুইডেনে যে কোনো সময় হতে পারে জঙ্গি হামলা, যুক্তরাজ্যের সতর্কতা
ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোর নিন্দা, দেশে দেশে মুসলিমদের বিক্ষোভ
নরওয়ের অসলো ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের এ সংক্রান্ত এক রায়ের নথি অনুসারে, মোমিকাকে গত ২৮ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। তার একদিন আগেই সেখানে পৌঁছান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ মার্চ শুনানির পর মোমিকাকে চার সপ্তাহের জন্য আটক রাখার সিদ্ধান্ত নেন আদালত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আইন মেনেই তাকে সুইডেনে ফেরত পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে নরওয়েজিয়ান ডিরেক্টরেট অব ইমিগ্রেশন (ইউডিআই)। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মোমিকাকে সুইডেনে ফেরত পাঠানো হবে।
Advertisement
আরও পড়ুন:
সুইডেনে ফের কোরআন পোড়ানোর অনুমতি, বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসে হামলা
সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে নিন্দার ঝড়
সুইডেনে কোরআন পোড়ানোয় মুসলিম বিশ্বে তোলপাড়, জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘ
মোমিকার কোরআন পোড়ানোর ঘটনা মুসলিম দেশগুলোতে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার জন্ম দিয়েছিল। এমনকি, ইরাকি বিক্ষোভকারীরা গত বছরের জুলাই মাসে বাগদাদের সুইডিশ দূতাবাসে একাধিকবার হামলা চালায়। পরবর্তী সময়ে সুইডিশ সরকার মুসলিম বিশ্বের চাপে পড়ে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানায় ও কুরআনসহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের অবমাননা ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায়।
সূত্র: এএফপি
এসএএইচ