হলিউডের জনপ্রিয় তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিটের সঙ্গে অনেক আগেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। সম্প্রতি অভিনেত্রী দাবি করেছেন যে, সাবেক স্বামী ব্র্যাড পিট তার উপর শারীরিক নির্যাতন করতেন। যা ২০১৬ সালে বিমান ঘটনার আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। যার ফলে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য ফাইল করতে বাধ্য হয়েছিল।
Advertisement
অভিনেত্রীর আইনি পরামর্শদাতাদের দাবি যে, পিট তার সাবেক স্ত্রীকে তাদের স্যাটিউ মিনারভাল ওয়াইনারির অংশ বিক্রির অনুমতি দেননি। চুক্তি স্বাক্ষরের শর্ত রেখেছেন তিনি!
আরও পড়ুন:
৪০০ কোটি টাকায় বাড়ি বিক্রি করলেন ব্র্যাড পিট ফিলিস্তিনের পক্ষে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জোরালো অবস্থানঅভিনেত্রীর আইনি পরামর্শদাতা এ নথি পেশ করে। যেখানে লেখা থাকে যে, ২০১৬ সালে ব্র্যাড-অ্যাঞ্জেলিনা তাদের সন্তানদের নিয়ে ফ্রান্স থেকে লস অ্যাঞ্জেলস যাচ্ছিলেন। এই ঘুরতে যাওয়ার আগে থেকে ব্র্যাড অ্যাঞ্জেলিনার উপর নির্যাতন চালাতেন। এ ফ্লাইটেই তিনি প্রথমবারের মতো শিশুদের উপরও শারীরির নির্যাতন চালান। তারপরেই অভিনেত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
Advertisement
অভিনেত্রী আইনি নথি অনুযায়ী ব্র্যাড পিট অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে একটি নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট করে। সেই চুক্তি অনুযায়ী অ্যাঞ্জেলিনা তার প্রতি হওয়া নির্যাতনের ব্যাপারে চুপ করে থাকবে। অভিনেত্রীর আইনজীবীরা আরও দাবি করেছেন যে, পিট ২০২১ সালেও এই চুক্তি আবার করতে চেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি তাদের সন্তানদের কাস্টডিটি দেওয়ার বিনিময়ে এই চুক্তিটি করতে চেয়েছিলেন।
সেই সময়ে, পিট জোলির ফ্রেঞ্চ ওয়াইনারির শেয়ার কিনতে রাজি হয়েছিলেন কিন্তু তার সাবেক স্বামীর সিল করা নথিগুলো অবশেষে প্রকাশ্যে আসতে পারে সেই আশঙ্কায় তিনি পিছপা হন।
অ্যাঞ্জেলিন অ্যাটর্নি পল মারফি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পিট জোলির শেয়ার কিনতে অস্বীকার করেছিলেন। যখন পিট বুঝতে পেরেছিলেন যে অ্যাঞ্জেলিনা আর চুপ করে থাকবে না।’
নথিগুলো আরও দাবি করে যে জোলি তার ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ সহ-অভিনেতার বিরুদ্ধে, কখনো অভিযোগ চাপাননি কারণ তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে পিটের দায়িত্ব গ্রহণ করা এবং পরিবারকে তার দ্বারা সৃষ্ট ট্রমাজনিত মানসিক চাপ থেকে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করা সবচেয়ে ভালো উপায় ছিল।
Advertisement
২০০৪ সালে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি-ব্র্যাড পিটের আলাপ হয়। তারকা জুটি ২০১৪ সালে বিয়ে করেন, যদিও তার আগে তারা ১০ বছর সম্পর্কে ছিলেন। ২০১৬ সালে অ্যাঞ্জেলিনা বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন।
যদিও শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সিলেমায় তাদের আইনি বিচ্ছেদ হয়। দম্পতির ৬ সন্তান রয়েছে ম্যাডক্স, প্যাক্স, জাহারা, শিলো এবং যমজ ভিভিয়েন ও নক্স। এখনো সন্তানদের হেফাজত নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এমএমএফ/এএসএম