কৃষি ও প্রকৃতি

মিরসরাইয়ে বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে সূর্যমুখী চাষ

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কৃষকেরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষ অনেক সহজ ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা আরও উৎসাহিত হবেন বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

Advertisement

সরেজমিনে জানা গেছে, এ এলাকার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। কম সময় ও কম অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার অপার সম্ভাবনা আছে। কৃষি বিভাগ সাধারণ কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ১২ একর জমিতে সার ও বীজ দিয়েছে।

উপজেলার মেহেদীনগরের একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে বেশি লাভের আশা করা যায়। সূর্যমুখী ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা লিটার তেল উৎপাদন সম্ভব।

আরও পড়ুন

Advertisement

মিরসরাইয়ে ৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে ডাল চাষ ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছেন ভোলার কৃষকরা

প্রতি বিঘা জমিতে ৭-১০ মণ বীজ উৎপাদন হয়। তেল উৎপাদন হবে প্রতি বিঘায় ১৪০-২০০ লিটার। প্রতি লিটার তেলের সর্বনিম্ন বাজারমূল্য ২৫০ টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে সূর্যমুখী তেলের।

সূর্যমুখী চাষি নঈম উদ্দিন জানান, কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী নিয়ে এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ৩৩ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। এ পর্যন্ত তার প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রির আশা করছেন ২৫-৩০ হাজার টাকা। তবে আধুনিক মেশিন থাকলে হয়তো এই সূর্যমুখী ভাঙিয়ে এর থেকে পাওয়া তেল নিজে ব্যবহার করতেন অথবা বাজারজাত করতেন।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, এ বছর উপজেলায় ১২ একর জমিতে প্রায় ৩০ জন কৃষক সূর্যমুখী চাষাবাদ করেছেন। দিন দিন চাষের পরিধি বাড়ছে। আগামী বছর থেকে এর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।

এসইউ/এমএস

Advertisement