জাতীয়

তিন জায়গায় টিকিট দেখিয়ে ট্রেনে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের

ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। অন্যান্য যানবাহনের পাসাপাশি ভিড় বেড়েছে ট্রেনে। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে অনেকেই ট্রেনকে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। তবে ট্রেনযাত্রায় ভোগান্তি কমেছে আগের তুলনায়। বিনা টিকিটের যাত্রীরা আর ভ্রমণ করতে পারছেন না। এবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে তিন স্তরের টিকিট চেকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। আগের মতো বিনা টিকিটে যাত্রীরা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে পারছেন না। স্টেশনে প্রবেশের প্রথম ধাপে টিকিট চেক করা হচ্ছে। যারা টিকিট দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহ করতে বলা হচ্ছে। টিকিট সংগ্রহের পরই যাত্রীদের স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এরপর স্টেশন ভবন এলাকায় দ্বিতীয় ধাপে টিকিট চেক করা হচ্ছে। পরে আবার প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সময় আরেক দফায় টিকিট চেক করা হচ্ছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার (টিটিই) মামুনুর রশীদ বলেন, আগের তুলনায় যাত্রী আজ কিছুটা বেড়েছে। টিকিট ছাড়া কেউই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে পারছেন না। যাদের টিকিট নেই তাদের আমরা স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহ করতে বলছি। টিকিট থাকলেই শুধু ভ্রমণ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন

Advertisement

ঈদের ফিরতি যাত্রা: ট্রেনের ১৫ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু 

এছাড়া স্টেশনে প্রবেশের প্রথমেই বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। যাতে যাত্রীরা সুশৃঙ্খলভাবে লাইন ধরে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারেন। যাত্রীরা বলছেন, এবার বিনা টিকিটে যাত্রী প্রবেশে বাধা দেওয়ায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারছেন।

ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাবেন আশরাফুল হক। তিনি বলেন, আগে টিকিট কাটার পরও অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হতো। অনেকে টিকিট না কেটেও ভ্রমণ করতেন। এখন আর সেই সুযোগ নেই। রেলওয়ের এই সিস্টেম অনেক ভালো।

এদিকে ট্রেনে ঈদযাত্রার আজ তৃতীয় দিন। অনেকে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আগেভাগেই বাড়ি ফিরছেন। কেউবা ভিড় এড়াতে পরিবারের সদস্যদের আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কথা হয় যাত্রী হাফসাতুন্নেসার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় জব করেন। তার ছুটি হবে দেরিতে। ভিড় এড়াতে বাচ্চাদের নিয়ে আগেই গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি।

Advertisement

এনএস/এসআইটি/জিকেএস