আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে গরম বেড়ে তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
Advertisement
চলমান তাপপ্রবাহ আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত এবং আরও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে বলে চার বিভাগে (রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল) হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে সারাদেশে অস্বস্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ঘরে থেকেও ঘামছে মানুষ। ফ্যানের বাতাস দূর করতে পারছে না অস্বস্তি। গরমে দুর্বিসহ হয়ে উঠছে জনজীবন।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের মধ্যে শুধু সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। এসময়ে সিলেটে ২২ এবং শ্রীমঙ্গলে ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
Advertisement
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
আগামী রোববার থেকে সিলেট অঞ্চলের বৃষ্টিও দূর হতে পারে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করতে পারে। এতে চলমান তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
Advertisement
আরএমএম/এমএইচআর/এএসএম