জাতীয়

কমলাপুর থেকে নির্বিঘ্নে ছাড়ছে ট্রেন, নেই ভোগান্তির অভিযোগ

অগ্রিম টিকিটে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন আজ। সকাল থেকে বিলম্ব ছাড়াই চলছে ট্রেন। ঈদের ছুটি এখনো শুরু না হওয়ায় কমলাপুর স্টেশনে বাড়েনি যাত্রীর চাপ। গত ২৫ মার্চ যেসব যাত্রী অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন, কেবল তারাই আজ কমলাপুর থেকে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে, শিডিউল অনুযায়ী চলাচল করছে ট্রেন। ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্মে অবস্থান করছেন যাত্রীরা। স্টেশনের গেট দিয়ে টিকিট চেক করেই ঢোকানো হচ্ছে যাত্রীদের। টিকিট ছাড়া অতিরিক্ত কোনো যাত্রী প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না স্টেশনে। তবে সরকারি ও বেসরকারি ছুটি শুরু না হওয়ায় এখনো যাত্রীর চাপ বাড়েনি।

কমলাপুর স্টেশনের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে গেছে। ৭ তারিখ থেকে উপচেপড়া ভিড় শুরু হবে। এখন নির্ধারিত মানুষই যাচ্ছেন। ২৫ শতাংশ স্টান্ডিং টিকিটও বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখনো আগের ৪২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেনই ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীর চাপ সামলাতে আমাদের ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে স্পেশাল দুটি ট্রেন ছেড়ে যাবে। আগামী ৭ তারিখ থেকে বিশেষ ৮ ট্রেন চলাচল করবে।

Advertisement

যাত্রীরাও বলছেন, কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই যাতায়াত করতে পারছেন যাত্রীরা।

কুড়িগ্রামগামী যাত্রী নাহিদ নয়ন জাগো নিউজকে বলেন, অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজ চলে যাচ্ছি। স্টেশনে এবার দালাল ও টিকিট কালোবাজারি নেই। যাত্রীর ও চাপ কম। অনেক সুন্দর পরিবেশে বাড়ি যাচ্ছি।

আরেক যাত্রী অনন্ত কুমার বলেন, আমি ব্যবসা করি। স্ত্রী-বাচ্চাসহ ৪ জন দিনাজপুর যাচ্ছি। বাচ্চাদের নিয়ে শেষ মুহূর্তে যেন ঝামেলা না পোহাতে হয় সেজন্য একটু তাড়াতাড়িই যাচ্ছি।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জাগো নিউজকে বলেন, আজ কোনো সিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি। কোনো ট্রেন দেরিতেও ছাড়েনি। কাল একটি ট্রেন শুধু বিলম্বে ছেড়েছে। প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের অতিরিক্ত লোকোমোটিভ রয়েছে। যাত্রীরা সহযোগিতা করলে ঈদযাত্রা ভালো হবে আশা করি।

Advertisement

চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০ অথবা ১১ এপ্রিল ঈদ হবে এবার।

আরএএস/এমএইচআর/এএসএম