ফরিদপুরে সোনালী ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুর।
Advertisement
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে দুদকের ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ফরিদপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন, ফরিদপুরের সোনালী ব্যাংকের মধুখালী শাখার মাঠকর্মী মীর আব্দুর রউফ, এবিএম একরামুল হক, মো. হাফিজুর রহমান, মো. সাহিদুর এবং শাখা ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হাসান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, উল্লেখিত কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজসে নিজেদের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে ব্যাংকের স্বার্থ না দেখে একই নামে একাধিক ব্যক্তিকে এবং ভুয়া পর্চা বা জাল পর্চা সৃজন ও দাখিলের মাধ্যমে অকৃষক বা ভূমিহীনদের মধ্যে ও একই পরিবারের একাধিক সদস্যের মাঝে ঋণ বিতরণ করে সর্বমোট ১ হাজার ১১টি লোন কেসের মাধ্যমে নিয়মবর্হিভূতভাবে ৪ কোটি ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করেন।
Advertisement
ঋণ বিতরণ পরবর্তী ৬ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত অতিবাহিত হওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে উক্ত ঋণ কেসগুলোর বিপরীতে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫৬০ টাকা আদায় করেন এবং সুদসহ ৫ কোটি ৪৯ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৯ টাকা বকেয়া রেখে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শান্তিযোগ্য অপরাধ করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
এ প্রেক্ষিতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ফরিদপুরের প্রাক্তন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) কমলেশ মন্ডল আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দাখিল করেন। মামলা নং-০২, তারিখ-১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১।
এ বিষয়ে দুদকের ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার তাদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ফরিদপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। যার অভিযোগপত্র নম্বর-২।
এন কে বি নয়ন/এফএ/এএসএম
Advertisement