জাতীয়

জাকাত বোর্ড শক্তিশালী করলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে

জাকাত বোর্ড শক্তিশালী করা সম্ভব হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

Advertisement

বুধবার (৩ এপ্রিল) ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে জাকাত বোর্ড আয়োজিত দারিদ্র্য বিমোচনে জাকাতের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সে লক্ষ্য অর্জনে জাকাত বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে।

জাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ জানিয়ে ধর্মমন্ত্রী বলেন, সামর্থ্যবান মুসলিম নরনারীর জন্য জাকাত ফরজ। এটি আর্থিক ইবাদত। ইসলামে নামাজকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমনি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জাকাতকে।

Advertisement

ফরিদুল হক খান বলেন, জাকাত ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলভিত্তি। জাকাত আদায় করা হলে মানুষের ধন-সম্পদ থেকে গরিবের হক আদায় হয়। ফলে তা হালাল ও পবিত্র হয়। আবার জাকাতের মাধ্যমে শ্রেণিবৈষম্য দূর হয়, সমাজে দারিদ্র্যের হার কমে এবং সচ্ছল মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন

যেভাবে জাকাতের হিসাব করতে হয় জাকাতের শাড়ি-লুঙ্গির কদর কমেছে, টাকা দিয়ে দেন ধনীরা

পবিত্র কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, পবিত্র কুরআনে জাকাত আদায় না করার পরিণাম সম্পর্কে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। যারা জাকাত আদায় করবে না তাদের বেদনাদায়ক আজাবের সম্মুখীন হতে হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মহা. বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. ওয়ালীয়ূর রহমান খান।

Advertisement

দিনব্যাপী এ সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও ওলামায়ে কেরাম অংশ নেন।

আরএমএম/বিএ/জিকেএস