ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাড়ি ফিরছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। আজ থেকে অগ্রিম টিকিট কেটে রাখা লোকজনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। তবে ট্রেন স্টেশনে আজ খুব একটা ভিড় নেই। ফলে প্রথমদিন স্বস্তিতে ঘরে ফিরছেন অনেকে।
Advertisement
গত ২৪ মার্চ যে সব যাত্রী ৩ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারাই আজ নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে ঈদযাত্রার চিরচেনা ভিড় আজ চোখে পড়ছে না। নির্বিঘ্নে যাত্রীরা স্টেশনে অবস্থান করছেন।
কমলাপুর রেলস্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকাল থেকে যাত্রীরা কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই স্টেশনে প্রবেশ করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। শুধু যারা টিকিট কাটছেন তারাই যাচ্ছেন, কোনো প্রকার দালালের দৌরাত্ম্য, টিকিট কালো বাজারি না থাকায় বাড়তি যাত্রী যাওয়ার সুযোগ নেই। অন্যদিকে, স্ট্যান্ডিং টিকিট ২৫ শতাংশের বেশি না হওয়ায় যাত্রী বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে স্বস্তিতেই ঈদযাত্রা করতে পারছেন ঘরমুখো মানুষ।
আরও পড়ুন:
Advertisement
বুধবার (৩ এপ্রিল) কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, সিডিউল অনুযায়ী, চলছে ট্রেন। স্টেশনের গেটে মেশিনে টিকিট চেক করে ভেতরের দিকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রী প্রবেশ করতে পারছেন না। অগ্রিম টিকিটের যাত্রীরা শুধু স্টেশনে প্রবেশ করে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
নেত্রকোনা যাচ্ছেন নাসির উদ্দীন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনেক কষ্টের পর অনলাইনে আজকের টিকিট পেয়েছিলাম। এখন ট্রেনের অপেক্ষায় আছি। কোনো ঝামেলা ছাড়াই গ্রামের বাড়ি যাবো।
ঢাকা থেকে রাজশাহী যাচ্ছেন বেল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, অন্যান্য বারের চেয়ে এবার ভিড় কম। টিকিটের বাইরে স্টেশনে কোনো যাত্রী নেই। সবাই মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্যেই যাচ্ছেন।
রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রথম ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯), দ্বিতীয় ট্রেন কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬), তৃতীয় ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯), নীলসাগর (৭৬৫), সোনার বাংলা (৭৮৮), এগারো সিন্দুর (৭৩৭), তিস্তা (৭০৭), মহানগর প্রভাতি (৭০৪), সুন্দরবন (৭২৬), মহুয়া (৪৩), কর্ণফুলি (০৪), রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১), তিস্তা (৩৪), জামালপুর এক্সপ্রেস (৭৯৯) পর্যায়ক্রমে ছেড়ে গেছে।
Advertisement
আরএএস/এসএনআর/এমএস