চাঁদপুরে কিশোরীকে উদ্ধারের পর নিজেকে স্বামী দাবি করে থানায় গিয়ে পেটে ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক যুবক। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এই ঘটনা ঘটে।
Advertisement
আহত সুজন গাজী (২৪) চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনির হারুন গাজীর ছেলে।
গুরুতর আহত সুজন গাজীকে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেলে রেফার করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুল আলিম মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের ব্যাংক কলোনীতে সুমন গাজীর ভাড়া বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করেন। ওই সময় তার মামাকেও সঙ্গে করে থানায় নিয়ে আসে। পরে থানা পুলিশ বিকেলে মাকে আটকে তার মামাকে ছেড়ে দেয়। সন্ধ্যায় সুমন গাজী পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হন। পরে থানায় উপস্থিত সবার সামনে উদ্ধারকৃত কিশোরীকে তার স্ত্রী দাবি করেন এবং তার নতুন বউকে কেন থানায় নেওয়া হয়েছে বলে উত্তেজিত হয়ে সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করেন।
Advertisement
আহত সুমন গাজীর বোন বরেন, আমার ভাই থানায় গেলে উপ-পরিদর্শক আবদুল আলিম ভাইকে থাপ্পড় দেন। তারপরই পরই সে পেটে ছুরিকাঘাত করে। ওই কিশোরীর সঙ্গে আমার ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে।
এদিকে কিশোরীর বাবা মমিন গাজী বলেন, তার মেয়ে রঘুনাথপুর হাজী এ করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২৪ মার্চ রাতে সে নিখোঁজ হয়। গত ১ এপ্রিল চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন তিনি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত বলেন, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মীম আক্তার নামে একটি মেয়ের মিসিং ডায়রি হয়। সেই ডায়রির সূত্র ধরে থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল আলিম মীমকে শহরের ব্যাংক কলোনি থেকে উদ্ধার করেন। যে ছেলের সঙ্গে সে চলে যায়, তাকেও থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে ওই ছেলে মীমকে স্ত্রী দাবি করেন। কেন থানায় নিয়ে এসেছে, এমন উত্তেজনামূলক কথা বলেন। কিছু সময় পর সুজন গাজী পকেটের লুকায়িত ধারালো ছুরি বের করে তার পেটের বাম পাশে ঢুকিয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যত আইনগত প্রক্রিয়া আছে সব হচ্ছে। সুমন গাজীর বিরুদ্ধে এখনও কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যাচাই বাছাই চলছে। বাকি ঘটনার তদন্তের পর বলা যাবে।
Advertisement
শরীফুল ইসলাম/এফএ/এমএস