তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপুরা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না। উইকেটে থাকার চেষ্টা করছেন, সেটও হচ্ছেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারছেন না। ফলে বাংলাদেশ দলও ভুগছে।
Advertisement
প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টেও বড় হারের মুখেই আছে টাইগাররা। ব্যাটিং ব্যর্থতাই বারবার ভোগাচ্ছে।
দলের ব্যর্থতার মাঝেও মুমিনুল অবশ্য খারাপ করেননি। আগের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এই টেস্টেও প্রথম ইনিংসে ৩৩ করার পর দ্বিতীয়বার নেমে করেছেন ফিফটি (৫০)।
মুমিনুল পারছেন, বাকিরা কেন পারছেন না? মুমিনুল বোঝাতে চাইলেন, অভিজ্ঞতার একটা মূল্য আছে। তার সঙ্গে তরুণদের তুলনা করা ঠিক হবে না। মুমিনুলের কথা, ‘আমি চর্চার ভেতরে থাকি...আমার জন্য ও একজন জুনিয়র খেলোয়াড়ের মধ্যে তফাত আছে। আমি ৬১টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। এ কারণে ম্যাচের পরিস্থিতিগুলো আমি বুঝি, জানি আমি, কোন সময় কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়। কখনো পারি, কখনো পারি না।’
Advertisement
মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপুদের নিয়ে এখনই হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘এখন যারা আছে, ওদের একটা জিনিস ভালো, নিবেদনটা অনেক বেশি। তাদের মধ্যে ক্ষুধাটা আছে। সত্যি কথা বলি, ফল না এলে অনেক কিছুই মনে হয়। কিন্তু এখন যে তরুণ দলটা আছে, তাদের টেস্ট খেলার প্রতি খুবই আগ্রহ। সবাই জাতীয় লিগে নিয়মিত খেলে। ওদের নিবেদনে কোনো সমস্যা নেই।’
মাহমুদুল হাসান জয় আর শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘ওরা কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের চ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়া কিন্তু অত সহজ না।’
তরুণদের একটু সময় দেওয়ার কথাই বোঝালেন মুমিনুল। তার কথা, ‘ওদের মধ্যে এই ডেডিকেশন আছে সবসময়। এমনকি ৫০-৬০ করে আউট হলেও বুঝা যায় যে আসলে কত ইচ্ছা আছে বা নাই। এখনও অনেক ক্ষুধা আছে, নিবেদন আছে দলের প্রতি। টেস্ট এমন এক জায়গা যত বেশি খেলবে তত ভালো খেলার সুযোগ থাকবে।’
এমএমআর/এএসএম
Advertisement