সুন্দরবনে শুরু হয়েছে মধু আহরণ মৌসুম। সোমবার (১ এপ্রিল) প্রথম দিন পূর্ব-সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে থেকে ৩৮টি নৌকার পাস দেওয়া হয়েছে।সন্ধ্যায় নৌকার বহর নিয়ে বনে রওয়ানা দিয়েছেন ৪০০ মৌয়াল।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, সবকিছু যাচাই-বাছাই করে প্রথম দিন ৩৮টি নৌকার পাস দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক নৌকায় ১০-১২ জন করে মৌয়াল রয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বনবিভাগের পাহারায় নৌকার বহর বনে পাঠানো হয়েছে।
প্রায় ৪০ বছর ধরে মধু সংগ্রহ করছেন উত্তর সাউথখালী গ্রামের ইউনুস হাওলাদার (৭০)। তিনি জানান, এ বছর আবহাওয়া অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো। মধুও বেশি পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
Advertisement
তার মতো আশাবাদী সোনাতলা গ্রামের মৌয়াল রফিকুল ইসলাম, চালিতাবুনিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামসহ অন্যারাও।
পূর্ব-সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান, প্রথম দিন ৩৮টি নৌকার একটি বহর বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে বনে পাঠানো হয়েছে। বহরে ৪০০ মৌয়াল রয়েছেন। প্রত্যেককে ১৪ দিনের জন্য পাস দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিনই পাস দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, মুধ আহরণের জন্য মৌয়ালদের ৯টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো মৌয়াল মধু সংগ্রহের সময় মৌমাছি তাড়াতে অগ্নিকুণ্ড, মশাল বা অনুরূপ কোনো দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন না। এ নির্দেশনা অমান্য করেল তার বিরুদ্ধে বন আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
চলতি বছর ৬০০ কুইন্টাল মধু ও ২০০ কুইন্টাল মোম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান এসিএফ শেখ মাহাবুব।
Advertisement
এসআর/এএসএম