খেলাধুলা

শ্রীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষা বাড়িয়ে পঞ্চম দিনে চট্টগ্রাম টেস্ট

লক্ষ্য ৫১১ রানের। জিততে হলে গড়তে হবে বিশ্বরেকর্ড। তবে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচ চতুর্থ দিনেও একদমই ব্যাটিং সহায়ক। উইকেট ধরে রাখতে পারলে আশাবাদী হতে পারতেন টাইগার সমর্থকরা।

Advertisement

সেই আশা কি আছে? মোটা দাগে বললে, নেই। কেননা বাংলাদেশের হাতে আছে মাত্র ৩টি উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে হলে পঞ্চম দিনে করতে হবে আরও ২৪৩ রান।

৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। স্বীকৃত ব্যাটার বলতে ক্রিজে আছেন কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৪ রানে ব্যাটিং করা মিরাজ হাফসেঞ্চুরির অপেক্ষায়। তার সঙ্গে ১০ রান নিয়ে আছেন তাইজুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দায়িত্বহীন ব্যাটিং করে ফেরেন তিন টপঅর্ডার। এরপর বলতে গেলে একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন মুমিনুল হক। হাঁকিয়েছেন ফিফটি।

Advertisement

তবে ফিফটি করে আর পিচে টিকে থাকতে পারেননি মুমিনুল। আউট হয়েছেন প্রভাথ জয়সুরিয়ার বলে লাহিরু কুমারার হাতে ক্যাচ হয়ে। আউট হওয়ার আগে ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫৬ বলে ৫০ রান করেন তিনি।

এর আগে ওপেনিংয়ে ৩৭ রানের ছোট জুটি করার পর বোকার মতো বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান মাহমুদুল হাসান জয়। লঙ্কান স্পিনার প্রবাধ জয়সুরিয়াকে পেছনে নেমে কাট করতে গেলে সরাসরি ভেঙে যায় জয়ের স্টাম্প। ৩২ বলে ২৪ রান করেন তিনি।

কিছুক্ষণ পরই জয়ের দেখানো পথে হাঁটেন জাকির হাসানও। খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ তুলে উইকেট বিলিয়ে আসলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৩৯ বল খেলে মাত্র ১৯ রান করেন জাকির।

তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সঙ্গে ৪৩ রানের একটি জুটি করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে জুটিটি বেশি লম্বা হয়নি শান্তর ২০ রানে ফিরে যাওয়ার কারণে। পেসার লাহিরু কুমারার বলে বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

Advertisement

আজ চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা দেয় লঙ্কানরা। ম্যাথিউজ হাঁকান ফিফটি। ৭৪ বলে ৫৪ রানের মাথায় এই লঙ্কান ব্যাটারকে বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। ম্যাথিউজকে চতুর্থ দিনের প্রথম ও একমাত্র শিকার বানান বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার।

সাকিব আল হাসান আর লিটন দাস লড়াই করার চেষ্টা করেছেন। তবে দুজনই সেট হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি। সাকিব করেন ৩৬, লিটন ৩৮ রান। এরপর ১৫ করে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে এলবিডব্লিউ হন শাহাদাত হোসেন দিপু।

এমএমআর/এমএস