মতামত

বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন সরবরাহ নিশ্চিত করুন

গ্রীষ্মের দাবদাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই। আবহাওয়াবিদরাও কোনো সুখবর দিতে পারছেন না। এ অবস্থায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। গরমে অতিষ্ঠ কর্মজীবী মানুষ রাস্তার পাশে অবস্থিত দোকান থেকে দূষিত পানি ও শরবত খেয়ে নানা রকম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু কিশোররা  ডায়রিয়া ও পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গরমজনিত রোগ ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া আমাশয়, পেটের পীড়া, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষজন। এ অবস্থায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, রোগাক্রান্তদের স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সহযোগী একটি দৈনিকের এ সংক্রান্ত খবরে বলা হয়েছে, শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ রাস্তায় দূষিত পানি ও শরবত খেয়ে ডায়রিয়া ও পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪ হাজার ৩৫৯ জন। এর মধ্যে একজনের মারা যাওয়ার খবর এসেছে গণমাধ্যমে। গতকাল ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখের বেশি। ডায়রিয়া আক্রান্ত অনেক রোগী প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছে বাসায় থেকে। গত মার্চ থেকে গরম শুরু হলেও এপ্রিল মাসের প্রথম থেকে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, আমাশা, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ অন্যান্য রোগ বেড়েই চলছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার কারণে ওরস্যালাইনসহ বিভিন্ন ধরনের ডায়রিয়া চিকিৎসার ওষুধের চাহিদা বাড়ছে। আর এ সুযোগে অসাধু ওষুধের দোকানের মালিকরা দোকানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি করছে। পাইকারি ওষুধের দোকানে পর্যাপ্ত স্যালাইন থাকলেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আর সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে যাতে ওরস্যালাইন বিতরণ করা হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতনতারও কোনো বিকল্প নেই।এইচআর/এমএস

Advertisement