ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যায় রাজধানী ঢাকা। এবার ঈদসহ অন্যান্য ছুটি মিলিয়ে দীঘ ছুটিতে যাচ্ছে নগরবাসী। এ অবস্থায় রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টা এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কারওয়ান বাজারে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানালেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে রাজধানী ফাঁকা হয়ে যায়। এ সময়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি হবে এবং ঈদকে ঘিরে কোনো হুমকি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে ডিএমপি পুলিশ সর্বদা তৎপর। ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় এই বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন:
ঈদের আগে ৯ এপ্রিল ছুটি থাকছে না আমিরাতে ২৯ রমজানেই শুরু ঈদের ছুটি, থাকবে ৭ দিনতিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাইরে যাবেন। এ সময়ে ঢাকা শহর ফাঁকা থাকে। তাই আমরা পরামর্শ দেবো মূল্যবান জিনিসপত্রের বিষয়ে নিজেরা সজাগ থাকবেন এবং সচেতন থাকবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দিনে রাতে ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ছিনতাই রোধে পুলিশের টিম কাজ করছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিএমপির ৮ বিভাগে টাস্কফোর্সের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে ডিসি ও থানা পুলিশ একসঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। টাস্কফোর্স গঠনের পর বর্তমানে ডিএমপিতে ছিনতাইয়ের হার নিম্নমুখী। অর্থাৎ কমতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:
Advertisement
ঈদের কেনাকাটার কারণে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরবাসী বাইরে থাকছেন। ফলে সড়কে গাড়ির চাপ থাকে। কিন্তু রাতে ট্রাফিক সদস্যরা না থাকায় ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকার পুলিশপ্রধান বলেন, এটি আমরা রমজানের শুরুতে নেইনি। এখন দেখছি যে মানুষ রাতে মার্কেট করছে। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ কেনাকাটা করায় দোকান ও মার্কেট খোলা থাকছে। আমরা এখন থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।
ঈদের ছুটিতে ফিটনেসবিহীন ও সিটিতে চলাচল করা বাস দূরের যাত্রী পরিবহন করে। যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হাবিবুর রহমান বলেন, এটি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী যে কমিটি রয়েছে সেখানে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে সেখানেও আলোচনা হয়েছে। সভায় মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের নিষেধ করা হয়েছে, কোনো অবস্থায় ফিটনেসবিহীন বাস যেন যাত্রী পরিবহনের চেষ্টা না করে। পুলিশকেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান ও উপ-পুলিশ কমিশনারসহ ডিএমপির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টিটি/জেডএইচ/এএসএম