চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সোমবার (১ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখার উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
Advertisement
ওই চিঠিতে, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের বর্তমান সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে উপর্যুক্ত কর্মকর্তা দ্বারা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
২০২১ সালের এইচএসসির প্রকাশিত ফলাফলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল নিয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। কয়েকজন শিক্ষার্থী ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বরের চেয়েও বেশি নম্বর পায়। তাছাড়া দুপুরে ফল প্রকাশের পরপর ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বর ফর্দ সন্ধ্যায় পাল্টে যায়। ওই বছর চট্টগ্রাম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হওয়া এক শিক্ষার্থীর নম্বর ফর্দে দেখা যায়, পদার্থ বিজ্ঞানে মোট ২০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর লেখা রয়েছে ২১৮! একই ঘটনা ঘটেছে ওই শিক্ষার্থীর উচ্চতর গণিতের বিষয়েও। আরও একাধিক শিক্ষার্থীর নম্বর ফর্দে এমন অস্বাভাবিক বেশি নম্বর দেখা যায়। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশের ক্ষেত্রে এমন নম্বর পাল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিভাবকরা। এ নিয়ে ২০২২ সালের ১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব আলমগীর হুছাইন স্বাক্ষরিত চিঠিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দায়ী করা হয়।
একইভাবে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে ওই সময়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলের ফলাফল নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়। প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথের এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনরায় মূল্যায়নের জন্য তৃতীয় পক্ষের পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা হয়।
Advertisement
তবে এ ঘটনায় গতবছর ৪ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নারায়ণ চন্দ্র নাথের স্ত্রী বনশ্রী নাথ।
ইকবাল হোসেন/এসএনআর/জিকেএস