নতুন কারিকুলামে ২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো ‘এসএসসি’ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেখানে ৫০ শতাংশ নম্বরবিহীন লিখিত পরীক্ষা রাখা হয়েছে। বাকি অর্ধেক অংশের মূল্যায়ন হবে হাতে-কলমে কাজের মাধ্যমে।
Advertisement
তবে সেই পরীক্ষার নাম এসএসসি থাকবে নাকি অন্য কোনো নতুন নাম হবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সোমবার (১ এপ্রিল) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে গঠিত কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত দুজন সদস্য নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, নতুন কারিকুলাম হলো-পারফরম্যান্স বেজড অর্থাৎ, দক্ষতা নির্ভর। এখানে নম্বর দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে না।
Advertisement
তারা আরও জানান, লিখিত ও হাতে-কলমে কাজের অংশে কত শতাংশ মূল্যায়ন হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা করে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ৫০ শতাংশ মূল্যায়ন লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে নেওয়া হবে। বাকিটুকু হাতে-কলমে কাজের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে।
জানা গেছে, নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরাতে ১৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই কমিটি মূল্যায়ন পদ্ধতির একটি খসড়া তৈরি করে। তাতে বলা হয়, এসএসসি পরীক্ষার মতো পাবলিক পরীক্ষা বা মূল্যায়নে হাতে-কলমে কাজের পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষাও রাখা হবে। এ লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তর দেওয়ার ধরন এখনকার মতো মুখস্থনির্ভর হবে না।
শিক্ষাবোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে এক কর্মদিবসের সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টায়। বিরতি দিয়ে হবে এ মূল্যায়ন। লিখিত পরীক্ষা বিষয়ভেদে এক ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টাও হতে পারে।
একজন শিক্ষার্থী কারিকুলাম অনুযায়ী, যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, সেগুলো মূলত সৃজনশীল উপায়ে লিখতে হবে। আর অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয়ের মাধ্যমে হাতে–কলমের মূল্যায়ন হবে।
Advertisement
২০২৩ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের তিনটি শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়। এবার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশই শিখনকালীন। অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে ক্লাসে মূল্যায়ন করছেন শিক্ষকরা।
এএএইচ/এসএনআর/জেআইএম