দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হাজিরা দিতে এবং জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জরুরি ভিত্তিতে দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
Advertisement
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বেলা ১০টার পর দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকা মহানগর বিশেষ দয়রা জজ আদালতে যাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ সাতজনকে শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় জামিন দেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ড. ইউনূসসহ সাতজনের জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।তারই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল তিনি হাজির হবেন।
৩ মার্চের শুনানিতে ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, এ মামলায় যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ ধরনের কোনো অপরাধের সঙ্গে উনারা সম্পৃক্ত নন। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনের জামিন আবেদন করছি।
Advertisement
অপরদিকে, দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ৪৩৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়। ওই অর্থের ৬ শতাংশ ২৬ কোটি টাকা সিবিএ নেতাদের দেওয়া হয়েছে। এটাই মামলা। ১৬৪ জন কর্মীকে বঞ্চিত করে সিবিএ নেতাদের দেওয়া হয়েছে। আমাদের আবেদন ২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। ড. ইউনূসসহ অন্যদের জামিন আবেদনে আপত্তি আছে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আসাদুজ্জামানের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। অন্যদিকে, গত ২৯ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়।
চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।
এফএইচ/এমএএইচ/এমএস
Advertisement